বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আজ যেন মাইলফলক ছোঁয়ার দিন!
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ সোমবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নেমে সবার আগে মাইলফলকের দেখা পান তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত ১৪ রানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রানের মাইলফলকের দেখা পান তামিম। এরপর লিটন তাঁর ৭০ রানের ইনিংসে দেখা পান ওয়ানডেতে যৌথভাবে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ২ হাজার রানের মাইলফলকের। এরপর মুশফিকুর রহিম।
প্রথম ওয়ানডের দুর্দান্ত ফর্ম দ্বিতীয় ম্যাচেও টেনে এনে এই সংস্করণে ৭ হাজার রানের মাইলফলকের দেখা পান মুশফিক। শুধু কী তাই, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও এখন তাঁর! বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ বলে ১ রান নিয়ে ৬০ বলে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৯ম সেঞ্চুরি। এর আগে এই সংস্করণে ২০২১ সালের মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে সর্বশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুশফিক।
৬০ বলে সেঞ্চুরি মুশফিকের, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্রুততম
৩৪৩ ম্যাচে ২২৮ ইনিংসে ৬৯৪৫ রান নিয়ে আজকের ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলেন মুশফিক। দরকার ছিল ৫৫ রানের। ৩৪ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকতে কার্টিস ক্যাম্ফারকে হাঁটু গেড়ে মিড অফের ওপর দিয়ে চার মেরে ৭ হাজার রানের দেখা পান মুশফিক। অর্থাৎ, ৩৪৪তম ম্যাচে ২২৯তম ইনিংসে এসে এই মাইলফলকের দেখা পেলেন।
৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে ৩২ রানই নিয়েছেন বাউন্ডারিতে—৫ চার ও ২ ছক্কায়। মুশফিক তাঁর ক্যারিয়ারে এর আগে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন, সেটি তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেটে তোলা ফিফটি—২০১৪ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে মুশফিকের ৬০ বলে এই ১০০ রানের ইনিংসটাই দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ছিল সাকিব আল হাসানের। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন সাকিব। আরও একটি বিষয়—আজকের এই ইনিংসটি মুশফিকের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসও। ন্যূনতম ফিফটি পেয়েছেন এমন ইনিংসগুলো বিচারে আজ তাঁর ১৬৬.৬৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসই সর্বোচ্চ।
সাকিব গত শনিবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে। ওয়ানডেতে দ্রুততম ৭ হাজার রানের রেকর্ড হাশিম আমলার। ১৫০তম ইনিংসে মাইলফলকটি ছুঁয়েছিলেন সাবেক এই প্রোটিয়া ওপেনার।
সংবাদচিত্র ডটকম/ক্রিকেট