১৬ ডিসেম্বরে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, ৫০ বছরে পা দিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির অন্যতম প্রধান গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ছিল প্রধানমন্ত্রীর শপথ পাঠ অনুষ্ঠান। দেশের কোটি মানুষ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির এই শপথ পাঠে অংশ নেন অনলাইনে ও অফলাইনে।
শপথ বাক্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তি-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আজ বিজয় দিবসে দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না— দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।’ সংক্ষিপ্ত এই কর্মসূচিতে জাতিকে একত্রিত করার যে প্রয়াস, তা অবশ্যই ইতিবাচক।
একটি দেশ যখন পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয়, সেসময় থেকে চলমান বর্তমান পর্যন্ত নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে যায়, নয়তো সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আরও অধ:পতন হয়। সেই ধারায় ১৯৭১ সালের কাঙ্খিত বিজয়ের পরেও প্রাকৃতিক থেকে শুরু করে মানবসৃষ্ট নানা প্রতিকূলতা-দুর্যোগ সহ্য করেছে বাংলাদেশ। তারপরও ধীরে ধীরে এগিয়েছে দেশ।
কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচক ও জরিপে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এগিয়ে যাবার নানা পরিসংখ্যানের পাশাপাশি রয়েছে অনেক অপ্রাপ্তিও। শিক্ষা, মানবাধিকার ও সুশাসনের নানা বিষয়ে কিছু প্রতিকূলতা থাকলেও গড় ফলাফলে বাংলাদেশের অর্জন অবশ্যই বিশ্বমানের।
দেশ টিকে থাকে মানুষে ও মানুষের কর্মে। কোনো অর্জন বা ব্যর্থতা স্থায়ী না, তা ধরে রাখবে বা কাটিয়ে উঠতে ক্রমাগত সংগ্রাম করে যেতে হয় কোনো জাতিকে। আর জাতির কল্যাণের লক্ষ্যে যারা দায়িত্বপালনে নির্বাচিত বা মনোনিত হন, তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য আরও বেশি বলে আমরা মনে করি। সুবর্ণ জয়ন্তীর শপথে প্রধানমন্ত্রী যেসব বাক্য উচ্চারণ করেছেন তা জাতিকে উজ্জ্বিবিত করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেইসঙ্গে আমাদের আশাবাদ, সরকার ও জনগণের সঠিক যোগসূত্রের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
সংবাদচিত্র/করিম রেজা