সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে প্রায় ৪ লাখ পদ খালি রয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারপরও নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে ধীর গতিতে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সেবাদান এবং বাড়ছে বেকারের সংখ্যা।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, করোনার কারণে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে সংকট কাটানো হচ্ছে।
এই মুহূর্তে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার। যার বেশিরভাগই উচ্চ শিক্ষিত তরুণ। অথচ সরকারি পদ খালি রয়েছে প্রায় ৪ লাখ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির ৪৩ হাজার ৩৩৬টি, ২য় শ্রেণির ৪০ হাজার ৫৬১টি, ৩য় শ্রেণির ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৮টি এবং ৪র্থ শ্রেণির ১ লাখ ২২ হাজার ৬৮টি পদ খালি রয়েছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বেশিরভাগ সরকারি চাকরির পরীক্ষা নেয় পাবলিক সার্ভিস কমিশন। আর একেকটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগে দুই থেকে তিন বছর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জানান, নিয়োগে এ রকম দীর্ঘসূত্রিতা দুঃখজনক। এতে হতাশাগ্রস্ত হচ্ছে তরুণ সমাজ।
তবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দাবি, করোনার কারণে অনেক নিয়োগ আটকে ছিল। এখন প্রায়ই চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে, পরীক্ষাও নেওয়া হচ্ছে।
নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাই ছুটির দিন ছাড়া পরীক্ষা নেওয়া যায় না। এ কারণেও নিয়োগ দেরি হয় বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
সংবাদচিত্র ডটকম/জাতীয়