আজও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে মানুষের চাপ রয়েছে। ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘাট এলাকায় হাজার-হাজার মানুষ ভীড় করছেন।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের চাপ থাকলেও ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। এতে করে কোনো ধরনের ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে না যাত্রীদের। তবে যাত্রীরা জানিয়েছেন, পথে যানবাহন না থাকায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে ছোট যানবাহনে আসতে হয়েছে। এছাড়া পথে পুলিশি তল্লাশির নামে ভোগান্তিও ছিলো।
জানা গেছে, যানবাহন ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ঘাট এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘাটে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। সকাল থেকেই ঘাটে যাত্রীদের ভীড় রয়েছে। এছাড়া পারাপারের অপেক্ষায় থাকা শত শত ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারি ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। মানুষের চাপ থাকলেও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীদের কোনো ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন সংবাদচিত্রকে জানান, শিমুলিয়া মোড় ও ঘাটের প্রবেশমুখে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। এছাড়া ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য ঘাট এলাকায় আগত এবং অবস্থানরত মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বা মানার বিষয়টি বরাবরের মতোই উপেক্ষিত।
সংবাদচিত্র/সারাদেশ/আর.কে