ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়া চালের দাম বাড়তে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন। চাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের মতবিনিময় সভায় দাম বাড়ার পেছনে নানা যুক্তিও দেখান ব্যবসায়ীরা।
চাল, তেল, আটা-ময়দাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এফবিসিসিআই। রাজধানীর মতিঝিলে বৃহ্স্পতিবার এই সভায় অংশ নেন ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, শুস্ক মৌসুমে চালের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়। এখন সেই মৌসুম, কিন্তু হাওরের কথা বলে কৃত্রিমভাবে চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে। দেশের উৎপাদিত মোট চালের মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ হাওর এলাকায় হয়।
তিনি বলেন, হাওরে এবার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে বাজারে দাম বাড়ার কথা নয়। কিছু ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়াচ্ছে; সরকারেরর ধরপাকড় সঠিক, মনিটরিং অব্যাহত রাখা। মজুদ করে কেন বেশি দামে বিক্রি করবেন ব্যবসায়ীরা?
তিনি আরো বলেন, চালের দাম মিল মালিকরা বাড়িয়েছেন। কারণ, তারা মনে করেছেন ধান নষ্ট হয়েছে ঘাটতি হবে।
শুরুতেই আলোচনায় আসে চাল ও তেলের দাম বাড়ার বিষয়টি। এর জন্য নানা যুক্তি দেখান এই খাতের ব্যবসায়ীরা। তবে তারা জানান, তেলের দাম আপাতত আর বাড়বে না, সেই সঙ্গে সংকটও হবে না। শিগগিরই চালের দামও কমে আসবে বলে জানান তারা।
বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সংস্থার অভিযানে তৃণমূল পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও দাবি অনেকের। তবে মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীদের কারসাজি আছে বলে দাবি এফবিসিসিআই সভাপতির।
পণ্য আমদানি ও খালাসের ক্ষেত্রে যেন বেশি সময় না লাগে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।