মার্কিন ওই গণমাধ্যমটিকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাব এসব কথা বলেন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওয়াশিংটনে রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বিকাশ তার আমলেই হয়েছে এবং যা বলতে চায় তা বলার (প্রকাশের) স্বাধীনতা পাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রচারিত ভয়েস অব আমেরিকার (ভোয়া) বাংলা বিভাগেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব কিছু বলার পর কেউ যদি বলে যে তাকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না, তার উত্তর কী হবে? আমি এটাই জানতে চাই।’
মার্কিন ওই গণমাধ্যমটিকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাব এসব কথা বলেন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওয়াশিংটনে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার আগে বাংলাদেশে মাত্র কয়েকটি টিভি ও রেডিও স্টেশন ছিল এবং সেগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর বেসরকারি খাতকে অবাধে মিডিয়া হাউস চালানোর পথ খুলে দিয়েছিলেন। অনুমোদিত ৪৪টি টিভি চ্যানেলের মধ্যে এখন ৩২টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চালু রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিচ্ছে এবং তারা স্বাধীনভাবে কথা বলছে- সত্য বা মিথ্যা এবং তারা সরকারের সমালোচনা করে।
তিনি আরও বলেন, সামরিক স্বৈরাচারের সময় বাক বা চলাফেরার স্বাধীনতা ছিল না।
সংবাদচিত্র ডটকম/জাতীয়