এবারের বন্যায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের ১৭টি জেলার ৮৩টি উপজেলায় চার হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংস্কার ও মেরামতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নদীগর্ভে চলে গেছে বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যবহার হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। এছাড়া পানিতে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক আবার কোনোটি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেখা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আসবাবপত্র, বই-খাতাসহ প্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে স্কুলের রাস্তা, খেলার মাঠ ও আশপাশের স্থান।
এদিকে মাঠ পর্যায়ে বন্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সেল গঠন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তাদের তথ্যমতে, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জে এক হাজার ৪৭৫টি, মৌলভীবাজারে ১২৪, হবিগঞ্জে ৩৭০ ও সিলেটের ৮৮৬টি বিদ্যালয়। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করা হয়েছে এক হাজার ৭৯৮টি বিদ্যালয়কে।
এছাড়া প্লাবিত হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুরে ২৭টি, নেত্রকোনায় ৫৭৮, শেরপুরে ১৮ ও ময়মনসিংহের ৫৭টি বিদ্যালয়। রংপুর বিভাগে কুড়িগ্রামে ২৯৪, গাইবান্ধায় ১১১, নীলফামারীতে ১১, লালমনিরহাটে ১৪টি ও রংপুরে একটি বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে।
অন্যদিকে বন্যায় ডুবেছে চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী ও খাগড়াছড়িতে সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে ১৭২টি বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে।
ডিপিই’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নুরুল আমিন বলেন, চূড়ান্তভাবে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনো করা হয়নি। পানি নেমে গেলে পাওয়া যাবে চূড়ান্ত হিসাব। তবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার এবং ক্ষেত্র বিশেষে নতুন ভবন নির্মাণে অন্তত ১০০ কোটি টাকা লাগতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সংবাদচিত্র/জাতীয়