রাজধানীর বনানী থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যের ভুয়া প্রটোকল অফিসারের পরিচয়ে বদলি বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা বলছে, ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক না থাকলেও শুধু মানুষের ভরসা পেতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি নকল ছবি ব্যবহার করত চক্রটি।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এভাবে বদলি বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাৎ চক্রের মূল হোতা হরিদাস ওরফে তাওহীদসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে এনএসআই ও র্যাব। সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
নাম হরিদাস চন্দ্র। ধর্ম পরিবর্তন করে নাম হয় তাওহীদ ইসলাম। ২০১০ সালে ঢাকায় শুরু করেন ইলেকট্রনিকসের ব্যবসা। তবে ব্যবসার আড়ালে প্রতারণাই ছিল তার মুখ্য উদ্দেশ্য। ২০১০ সালে ফটোশপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি জুড়ে দিয়ে শুরু করেন প্রতারণা। সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন তিনি। এনএসআই ও র্যাবের যৌথ অভিযানে তাওহীদ ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতারের পর র্যাব জানায়, আত্মসাতের টাকা দিয়ে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় গড়ে তুলেছেন একটি রিসোর্টও।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে, একটি প্রতারক চক্র স্পর্শকাতর ব্যক্তিদের অথবা সমাজের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে বা তাদের প্রটোকল অফিসার বা বিভিন্ন মন্ত্রীর ভুয়া এপিএস পদ ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ করছে। এমনকি এই প্রতারক চক্র প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের ভুয়া প্রটোকল অফিসার পরিচয় দিয়েও বিভিন্ন স্থান থেকে অর্থ আত্মসাৎ করছে। তথ্য পাওয়ার পর অভিযান চালানো হয়।
র্যাব বলছে, চক্রের সঙ্গে সরকারি বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশ আছে। প্রতারণা থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে র্যাব।
সংবাদচিত্র ডটকম/