শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, দেশে ব্যবসার নামে নৈরাজ্য চলছে। চাল, ডাল, তরিতরকারিতে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও সিন্ডিকেটের জন্য অরাজকতা বিরাজ করছে বাজারে। অনেকে বাজার করতে গিয়ে কাঁদছে। অর্থনীতিতে যেভাবে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে তা ভাঙতে না পারলে আমাদের মন্ত্রী থাকা উচিত নয়।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ কার্যালয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসএমই ফাউন্ডেশন ও ইআরএফের যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান।
বাংলাদেশে ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে গ্রামীণ ইউনিক্লোরবাংলাদেশে ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে গ্রামীণ ইউনিক্লোর
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান চানাচুর ও মুড়িতে হাত দিয়েছে। তাই এসএমই টিকতে পারছে না। অর্থমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছি এসএমই এর জন্য বাজেটে বড় বরাদ্দ থাকা দরকার।
তিনি আরও বলেন, একসময় যারা ব্রিটকেস নিয়ে ঘুরতো। সিগারেট খাওয়ার টাকা ছিল না। তারা আজ বেসরকারি ব্যাংকের মালিক। সরকারি ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ব্যাংকের পরিচালক হয়েছে। তাদের নাম প্রকাশ করা উচিত। তা না হলে যে লুটপাট করে বড়লোক হচ্ছে তাদের আরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সামনে আনতে হবে। বড় বড় প্রতিষ্ঠান বেশি করে ঋণ নিয়ে ঠিকমতো দেয় না। তাদের ঋণ পরিষদের শিডিউল ঠিক থাকে না। বারবার খেলাপি হচ্ছে। অথচ এসএমই উদ্যোক্তাদের কোনো সুযোগ দেওয়া হয় না।
কামাল মজুমদার আরও বলেন, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য এখনো কমেনি। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে। এসএমএস খাতে ২-৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হলে বেকারত্বের হার অনেক কমে যাবে।
সংবাদচিত্র ডটকম/রাজনীতি