চন্ডিকা হাথুরুসিংহে গতকাল জানিয়েছিলেন, ফিল্ডিংয়ে এশিয়ার এক নম্বর বানাতে চান বাংলাদেশকে। চব্বিশ ঘণ্টা না যেতেই সে ফিল্ডিং উঠল কাঠগড়ায়। নাসুম আহমেদের এক ওভারে বাংলাদেশি ফিল্ডারদের হাত থেকে ফসকালো ইংল্যান্ডের দুই ওপেনারের দুই ক্যাচ। ফিল সল্টকে তবু অল্পতে থামানো গেছে, ফিফটির আগে থামেননি জস বাটলার।
ফিল্ডারদের দৈন্য দশার পরেও বোলারদের নৈপুণ্যে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি ইংলিশরা। তবুও এই লক্ষ্য টপকাতে হলে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। চট্টগ্রামে এর আগে সর্বোচ্চ ১৩৯ তাড়া করে জিতেছেন সাকিবরা। ২০১৪ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ১৯০ তাড়া করে জয় ছাড়া জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আর কোনো দলই ১৫৬ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি।
প্রায় ৪ মাস পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে টস ভাগ্য পাশে পায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক সাকিব। বাংলাদেশ একাদশে রনি তালুকদারের সঙ্গে ফেরেন শামীম পাটোয়ারি। অভিষেক হয় তৌহিদ হৃদয়ের।
ওয়ানডে সিরিজ জেতা ইংল্যান্ড আজও ব্যাট হাতে ভালো শুরু পায়। দুই ওপেনার বাটলার-সল্ট পাওয়ার প্লেতে তোলেন ৫১ রান। যদিও ষষ্ঠ ওভারে জীবন পান দুজনই। সল্টের ফিরতি ক্যাচ ছাড়েন নাসুম, বাটলারের সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি সাকিব। সল্ট অবশ্য এর পরেও সুবিধা করতে পারেননি। দশম ওভারে নাসুমের নিচু হয় হওয়া বলে ক্যাচ দিয়ে উইকেটকিপার লিটনের হাতে। ফেরেন ৩৫ বলে ৩৮ রানে।
ডাভিড ম্যালান, বেন ডাকেটদের সুবিধা করতে দেননি সাকিব-মোস্তাফিজরা। কিন্তু অন্যপ্রান্তে ব্যাট চালিয়ে খেলে মাত্র ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন বাটলার। এরপর আরও আগ্রাসী হতে চেয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক। পারেননি, হাসান মাহমুদের শিকার হন ৬৭ করে। ৪২ বলের ইনিংসে ৪টি করে চার-ছয়। হাসানের দ্বিতীয় শিকার স্যাম ক্যারেন।
বাংলাদেশের বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে খেই হারান ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। যেখানে একসময় মনে হচ্ছিল ১৮০ ছাড়াবে ইংলিশদের ইনিংস, সেখানে ১৫৬ রানে থামে তারা। তবুও ১৫৭ তাড়া করতে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে।
সংবাদচিত্র ডটকম/ক্রিকেট