তুরস্ক ও সিরিয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় জানিয়েছেন, দেশটিতে এ পর্যন্ত তিন হাজার ৪১৯ জনের মরদেহে এবং ২০ হাজার ৫৩৪ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কে ছয় হাজারের মতো ভবন ধসে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন ফুয়াত ওকতায়।
এদিকে গত সোমবারের এই ঘটনায় সিরিয়ায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৬০২ জন মারা যাওয়ার খবর মিলেছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, দেশটিতে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে ২৪ হাজার ৪০০ কর্মী।
বিবিসি জানায়, ভূমিকম্প কবলিত এলাকাগুলোয় জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ইরান ও ইরাক, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সহায়তা পাঠানো হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ (ইউএসজিএস) জানায়, গত সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গাজিয়ানতেপের শহর নুরদায়ির ২৬ কিলোমিটার পূর্বে প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সমতলের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পটি যখন আঘাত হানে তখন বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন।
নুরদায়ি শহরটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত। এই দুটি দেশ ছাড়াও লেবানন ও সাইপ্রাসে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৮০০ কিলোমিটার দূরের গাজা উপত্যকায়ও অনুভূত হয়েছে কম্পন।
একই দিন দুপুর দেড়টার দিকে ওই এলাকায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হনে।
সংবাদচিত্র ডটকম/আন্তর্জাতিক