আসন্ন রমজানে বাজারে অস্থিরতার শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার সংকটে এলসি (ঋণপত্র) খোলা যাচ্ছে না, এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মেজবাউল হক বলেন, ডলার সংকটে এলসি খোলা যাচ্ছে না, এমন অভিযোগ সত্য নয়।
এ ছাড়া ছোলা, চিনিসহ দরকারি পাঁচ পণ্যের যথেষ্ট মজুত থাকার দাবিও করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মুখপাত্র বলেন, রমজানে অতিরিক্ত চাহিদাসম্পন্ন পাঁচ পণ্য প্রয়োজনের চেয়েও বেশি আমদানি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চলতি অর্থবছর আমরা ব্যাংকগুলোকে ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিয়েছি। আর গত অর্থবছর এটি ছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন। তাহলে সব মিলিয়ে ১৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা করেছি।’
এদিকে কিছু ব্যাংক আর্থিক সক্ষমতা হারিয়েছে বলে স্বীকার করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মেজবাউল হক বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাংক তাদের নিজস্ব সক্ষমতায় ক্রেতাদের সেবা দেয়। সুতরাং কোনো কোনো ব্যাংকের হয়তো সমস্যা থাকতে পারে। তাদের ক্রেতাদের তারা হয়তো ঠিকমতো সেবা দিতে পারছে না। কিন্তু তার মানে এ নয় যে সব ব্যাংক পারছে না।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন চিনি, ৩ লাখ ৯১ হাজার টন সয়াবিন তেল, সাড়ে ২৯ হাজার টন খেজুর আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের চেয়ে বেশি পরিমাণ ডাল ও পেঁয়াজ আমদানিরও অনুমতি মিলেছে।
সংবাদচিত্র ডটকম/অর্থনীতি