দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। গতকাল (৩১ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাঁকে শপথ পড়ান।
শপথের পরদিন শনিবার (১ জানুয়ারি) ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাসভবন ঘুরে দেখেন তিনি। এই সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
পরে সাংবাদিকদের সংগে কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, মৃত বঙ্গবন্ধু জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শক্তিশালী। বিচারপতিরা বঙ্গবন্ধুকে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার আসনে রেখে তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার মনে হয় পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বটে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন মানুষের মধ্যে এবং বাংলার আনাচে কানাচে আমরা বঙ্গবন্ধুকে অনুভব করি। মৃত বঙ্গবন্ধু এখন জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে ১৫ আগস্টে আমরা সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠান করেছি। প্রত্যেক বিচারপতি উনাকে (বঙ্গবন্ধু) শ্রদ্ধা নিবেদন করে কথা বলেছেন। এখান থেকে আমার মনে হয়, জীবিত বঙ্গবন্ধুর থেকে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী। যারা বঙ্গবন্ধুকে মারতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু মরেননি, আমাদের মনে জীবিত আছেন।
২০১৩-এর ২৮ মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী কুষ্টিয়ার সন্তান। তিনি জেলার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা প্রয়াত আবদুল গফুর মোল্লা। ১৯৭২-এ খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ১৯৭৪-এ সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। বিএ পাস করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে। এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এলএলবি পাস করেন ধানমণ্ডি ল’ কলেজ থেকে। ১৯৮১-এ ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যোগদান করেন। ১৯৮৩-এ হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৮-এ আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
পরে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০০১-এ হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৯-এ হাইকোর্ট ডিভিশনে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
সংবাদচিত্র/জাতীয়