শুরুতে বেশ বড় টার্গেট মনে হলেও বাঁ হাতের খেল খেলে চার বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি জিতে সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিলো টাইগাররা।
এই ম্যাচে মেহেদী হাসানের বদলে নাসুম আহমেদ দলে আসায় টাইগারদের স্কোয়াডে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়-এ। আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেট ম্যাচে এতো সংখ্যক বাঁহাতির সমাবেশ ঘটেনি এর আগে। সর্বোচ্চ ৮ জন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান একই দলে খেলেছিলেন ৬ বার, একবার বাংলাদেশের আগের ম্যাচেই।
রান তাড়ায় শুরুটা এক প্রান্তে ভালোই করেছিলেন সৌম্য, তবে তাকে অনুসরণ করতে পারেন নি নাঈম। ব্লেসিং মুজারাবানির ফুল লেংথের বলটা জায়গা থেকে তুলে মেরেছিলেন নাঈম, পার করাতে পারেননি মিড-অফ। ৭ বলে ৩ রান করেই ফিরেছেন তিনি। ফলে ২০ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ৫০ ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। তখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় রান রেটে পিছিয়ে ছিলো টাইগাররা।
শুরুটা ভালোই ছিলো সাকিবের। প্রথম দুই ডেলিভারিতেই ছয়। একটি ডট বলের পর লুক জঙ্গুয়েকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন তিনি। স্লটে পেলেও খেলতে চেয়েছিলেন টেনে, ব্যর্থ হয়েছেন তাতেই। ১৩ বলে ২৫ রান করে যখন সাকিব ফেরেন, ৭০ রানে তখন দ্বিতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
পাওয়ার-প্লের পরের ৪ ওভারে উঠেছে ৪০ রান। টিকে ছিলেন সৌম্য, শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১০৪ রান, প্রতি ওভারে তুলতে হবে ১০.৪০ করে।
লুক জঙ্গুয়েকে কাট করে চার মেরে ক্যারিয়ারের ৫ম ফিফটি পেয়েছেন তিনি, সিরিজে যেটি দ্বিতীয়। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটিতে উঠেছে ৩৫ বলে ৬৩ রান। শঙ্কার দোলাচল থেকে বেড়িয়ে তখন জয়ের সুবাস পেতে শুরু করেছে টাইগাররা। তখনই সৌম্য লুক জঙ্গুয়ের ফুল লেংথের বলটা আড়াআড়ি তুলে মারতে গিয়েছিলেন। তবে লাগেনি ঠিকঠাক, লং-অফে ধরা পড়েছেন ৪৯ বলে ৬৮ রান করে।
হাঁটু গেঁড়ে দারুণ এক শটে ছয় মেরেছিলেন। এরপর অফস্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করেছেন আফিফ, হয়েছেন বোল্ড। শেষ ৪ ওভারে তখন প্রয়োজন ৪০ রান।
তবে মাহমুদউল্লাহর ছয়, শামীমের চারে টেনডাই চাতারার শেষ ও ম্যাচের ১৬তম ওভারে উঠেছে ১২ রান। শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলো ২৮।
মুজারাবানির অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। উইকেটের পেছনে ডানদিকে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন রেজিস চাকাভা। ২৮ বলে ৩৪ রান নিয়ে জয় অধরা রেখেই সাজঘরে ফিরতে হলো টাইগার্স অধিনায়ককে। জয় থেকে অখন মাত্র ৭ রান দূরে বাংলাদেশ।
ম্যাচ ও সিরিজ জিততে শেষ ৬ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলো ৫ রান। মাসাকাজাদার প্রথম ডেলিভারিই শামীম পাঠিয়ে দেন মাঠের বাইরে। এরপরের বলেই জয়সূচক রানটিও আসে তার ব্যাট থেকেই।
সংবাদচিত্র/ক্রিকেট