চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৮৭৯ কোটি ৭ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ টাকা।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
এরমধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে ৬৪৯ কোটি ২ লাখ ৪৩ হাজার ৯১ টাকা। আর সড়ক নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে ২৩০ কোটি ৫ লাখ ১ হাজার ১১৬ টাকা।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৮তম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির ৩৭তম সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান বলেন, সভায় চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের ডব্লিউডি-১ প্যাকেজের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৬৪৯ কোটি ২ লাখ ৪৩ হাজার ৯১ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। চুক্তি মূল্য ছিল ৩ হাজার ৭২০ কোটি ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭২৮ টাকা। ব্যয় বেড়ে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা।
এ ছাড়া কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ডব্লিউডি-১ প্যাকেজের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২৩০ কোটি ৫ লাখ ১ হাজার ১১৬ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। বুধবারের সভায় সেই অনুমোদন মিলেছে।
মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৭৮৯ কোটি ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৮ টাকা। ব্যয় বেড়ে মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪ টাকা।
চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে বাংলােদশের দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর বা পতেঙ্গা সৈকত পর্যন্ত এটি নির্মিত হবে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে নগরীর সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে কর্ণফুলী টানেলের সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে। এর দৈর্ঘ্য হবে ১৬ কিলোমটার।
সংবাদচিত্র ডটকম/সারা দেশ