চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে দিয়ে জয়ে ফিরল রংপুর রাইডার্স। আজ সোমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দিনের ম্যাচে ব্যাটার-বোলারদের দূরদর্শী পারফরম্যান্সে চট্টগ্রামকে ৫৫ রানে হারিয়েছে রংপুর। আসরে এটি রংপুরের তৃতীয় জয়।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে রংপুর শোয়েব মালিকের ৭৫ এবং ওমরজাইয়ের ৪২ রানের সুবাদে ৬ উইকেটে ১৭৯ রানের পুঁজি দাঁড় করায় রংপুর। সেই রান তাড়া করতে নেমে ২১ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় চট্টগ্রামের ইনিংস। দলটির রানের চাকা থামে মাত্র ১২৪ রানেই।
লক্ষ্য তাড়ায় নামা চট্টগ্রামকে শুরু থেকে চেপে ধরে রংপুরের বোলাররা। তৃতীয় ওভারের মধ্যেই দলটির তিন উইকেট তুলে নেয় রংপুরের বোলাররা। দুই ওপেনারের উইকেটই তুলে নেয় উসমান খান এবং খাজা নাফেয়। এর মধ্যে তৌফিক খানকে ফেরান আজমতুল্লাহ। তৌফিক ফেরেন শূন্যহাতে। উসমান করেন ৪ রান। খাজার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
দ্রুত তিন উইকেট হারানো চট্টগ্রাম ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে দারউইশ রাসুলি এবং শুভাগত হোমের ব্যাটিংয়ে। চতুর্থ উইকেটে দুজনে দলের স্কোরবোর্ডে ৬৬ রান যোগ করেন। রাসুলিকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন হারিফ রউফ। ২১ রান আসে রাসুলির ব্যাট থেকে। এরপর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে শেষ প্রচেষ্টা চালান শুভাগত। তবে জিয়া ২৪ এবং শুভাগত ৫২ রান করে ফিরে যেতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে চট্টগ্রামের ইনিংস।
হারিস রউফ ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট। রাকিবুল হাসান ২৪ রানে নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পকেটে পোরেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই, হাসান মাহমুদ এবং মাহেদী হাসান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় রংপুর। ১ রান করে ফিরে যান শেখ মেহেদী হাসান। এরপর পাওয়ারপ্লেতে পারভেজ হোসেন ইমনের উইকেটও হারায় রংপুর। প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৬ রান তোলে দলটি।
রংপুর আরও চাপে পড়ে ওপেনার নাঈম শেখ ৩৪ রান করে ফিরে গেলে। শুরুর সেই ধাক্কা অবশ্য মালিক এবং আজমতুল্লার ব্যাটে কাটায় রংপুর। দুজনে চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলের স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১০৫ রান। ঝোড়ো ব্যাটিং করতে থাকা ওমরজাই ২৪ বলে ৪২ রান করে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। ১ চার আর ৪ ছয়ে নিজের ইনিংসটি সাজান আফগানিস্তানের ওমরজাই। তিনি অর্ধশতকের আক্ষেপে পুড়লেও মালিক সেই মাইলফলক স্পর্শ করেন। তিনি অপরাজিত থেকেই ছাড়েন মাঠ।
মোহাম্মদ নেওয়াজ (৭), শামীম হোসেন পাটোয়ারী (৭) তেমন সঙ্গ দিতে না পারলেও ৪৫ বলে ৭৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি খেলেন মালিক। অভিজ্ঞ এই পাকিস্তান অলরাউন্ডার সমান ৫ চার ও ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। চট্টগ্রামের হয়ে ৩৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা। ২ উইকেট যায় শুভাগত হোমের পকেটে। অপর উইকেটটি পেয়েছেন বিজয়কান্ত বিয়াসকান্ত।
সংবাদচিত্র ডটকম/বিপিএল