গাজীপুরের কাশিমপুরের জরুন এলাকায় কটন ক্লাব বিডি পোশাক কারখানায় কম্প্রেশার রুমে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে কারখানাটির একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসে উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহতদের বেশিরভাগই ১০-১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আহতরা হলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মী ফজলু, নিরাপত্তা কর্মী সোহেল, চান মিয়া, সবুর, কামাল, আবুল, ইলেকট্রিশিয়ান আরিফুল, রাকিব, রাসেল, লাইন চিফ হারুন, মানব সম্পদ কর্মকর্তা তাসির, আল আমিন, কোয়ালিটি ম্যানেজার আসলাম, ফজলুল হক, মোঃ খোকন ও আব্দুল হক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকাল সাড়ে আটটার দিকে কাশিমপুরের জরুন এলাকার মন্ডল গ্রুপের কটন ক্লাব বিডি নামের ওই কারখানার কমপ্রেসার রুমে গ্যাস-লিকেজ থেকে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ ঘটে । বিস্ফোরণে রুমের এক পাশের ওয়াল ভেঙে আগুন ধরে যায়। এতে ওই কারখানার স্টাফ সহ অন্তত ১৬ শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে গুরুতর হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অডিট এবং কারখানা ব্যবস্থাপনার জন্য নিরাপত্তা কর্মী, স্টাফ ও কিছু শ্রমিক কারখানায় অবস্থান করছিল। সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক এই কারখানায় কাজ করলেও পুরো কারখানা মে দিবসের বন্ধ ছিল। সম্ভবত আর এমএস রুমে ( গ্যাস সরবরাহ লাইনে) ফায়ারিং থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ৭ জন অগ্নিদগ্ধ রয়েছেন। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
এ ব্যাপারে কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানা বন্ধ ছিল। কিন্তু কারখানায় ব্যবস্থাপনার জন্য ৩০ -৩৫ জন লোক ছিল। সকালে আরএমএস রুমে গ্যাস-লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৬ শ্রমিক আহত হন। তবে তারা আশঙ্কা মুক্ত রয়েছে। তাদের সু চিকিৎসার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, গ্যাস লাইনে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেন।
সংবাদচিত্র ডটকম/দুর্ঘটনা