কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা শুরু করেছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রাশেদুন্নবী চৌধুরীসহ অন্যান্য সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত- নৌকা, ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম- হাতপাখা প্রতীক পান। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু- টেবিল ঘড়ি, মোঃ নিজাম উদ্দিন কায়সার- ঘোড়া, কামরুল আহসান বাবুল- হরিণ প্রতীক পান। এছাড়া ১০৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৩৬ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
শুক্রবার সকাল থেকে কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে মেয়র ও কাউন্সিল প্রার্থীরা নেতাকর্মীদের নিয়ে ভিড় জমায়। প্রতীক পেয়ে নিজ নিজ ওয়ার্ডে প্রচারণা চালিয়েছেন অনেকে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানান, আজ থেকে আগামী ১৩ জুন পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন। প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্পের জন্য আবেদন করতে হবে এবং প্রতিটি ক্যাম্পে নির্বাচনি আচরণ বিধি টাঙিয়ে রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা আজ থেকে প্রচারণায় নামছেন, তাই প্রচারণার বিষয়ে সকলকে নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এখন পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন—আওয়ামী লীগের আরফানুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল হক সাক্কু, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এবং কুমিল্লা নাগরিক ফোরামের সভাপতি কামরুল হাসান বাবুল।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ জন। আগামী ১৫ জুন ১০৫ টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লা সিটিতে সর্বশেষ ভোট হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব নেওয়ার পর সে বছরের ১৭ মে প্রথম সভা হয়। তাদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে চলতি বছরের ১৬ মে।
দুটি পৌরসভা নিয়ে ২০১১ সালের জুলাই মাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত দুটি নির্বাচন হয়েছে। ১০ বছর আগে প্রথম নির্বাচন নির্দলীয় প্রতীকে হলেও ২০১৭ সালে দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন হয়। দুই নির্বাচনেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হয় বিএনপির প্রার্থী।
সংবাদচিত্র/কুসিক নির্বাচন-২০২২