দেশে করোনা মোকাবিলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছিল।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বাজেট অধিবেশনে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বিগত দুটি বাজেটেই কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বিপুল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যখাতের যে কোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য উভয় বাজেটেই আমরা ১০ হাজার কোটি টাকা করে থোক বরাদ্দ রেখেছিলাম। দেশে করোনা সংক্রমণ বর্তমানে অনেকটাই স্তিমিত হয়ে আসার পরও এর সম্ভাব্য পুনরাবির্ভাবের আশঙ্কা এখনও রয়ে গেছে।
কারণ বিশ্বের অনেক দেশেই এখনও এ অতিমারির প্রকোপ বিরাজমান। সুতরাং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সংঘটিত ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে আগামী অর্থবছরেও স্বাস্থ্যখাতের জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কোভিড-১৯ এর মতো জটিল অতিমারি মোকাবিলা, দ্রুত সাড়া দেয়া ও নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক, কারিগরি দিক ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সার্বিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টি সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসসহ সব ধরনের টিকা উৎপাদনের জন্য দেশে একটি মানসম্মত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুসারে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি গোপালগঞ্জে একটি টিকা উৎপাদন ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে।
এ প্রতিষ্ঠানটিকে আমরা পর্যায়ক্রমে একটি আন্তর্জাতিক মানের টিকা গবেষণা ও উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করবো। যাতে টিকার জন্য আমাদেরকে বিদেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে না হয়।
সংবাদচিত্র/জাতীয়