শামসুল হক। ঢাকা ওয়াসা মডস জোন-৪ এর কর্মচারী। পদোন্নতি পেয়ে এখন লাইনম্যান সুপার। রাষ্ট্রের আলোচিত এই প্রতিষ্ঠানে লাইনম্যান পদটি ‘নিন্মপ‘ হলেও শামসুল হকের জন্য আর্শিবাদ। ভাগ্যের লাইন ঘুরিয়ে দিয়েছে শামসুল হকের জীবনে। রাজধানীতে বহুতল ভবনের একাধিক বাড়ী, গাড়ীসহ ব্যাংক ব্যালেন্স। সব মিলে যে কতো কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তা তিনি নিজেই জানেন।
তবে এককালে তার করুণদশা দেখা লোকজনের প্রশ্ন ওয়াসার লাইনে কী আছে যে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেয়? যার উদাহরণ শামসুল হক।
ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে দীর্ঘ অভিযোগ পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে। আবু মুসা নামের এক ব্যক্তি অভিযোগটি দায়ের করেছেন।
তাতে উল্লেখ, রাজধানীর শাহআলী থানার মিরপুর-১, ব্লক-বি, রোড নং এভিনিউ-০১, বাসা নং ২০। এই বহুতল ভবনটির মালিক শামসুল হকের স্ত্রী। পেশায় গৃহিনী।
ওই ভবনের নিচ তলায় ফরচুন ফার্মেসিটি পরিচালনা করেন শামসুল হকের জামাতা আকরাম হোসেন। শামসুল হকের ওই বাসাতেই এশিয়ান ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি অফিস রয়েছে নিচ তলায়, ৬তলা এই এই বাসাটি তার স্ত্রী নামে রয়েছে। এছাড়াও বাসা-২৯, রোড-০২, ব্লক-বি, শাহআলী থানা রোড, মিরপুর-১, থানা- শাহআলী, ঢাকা উক্ত বাসাটি তার নিজের নামে সাড়ে ৬ (ছয়) তলা ভবন নির্মান করেছেন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকা।
এতো অর্থের মালিক কিভাবে? প্রকাশ্যে এ প্রশ্ন করবার সাহস স্থানীয় লোকের নেই।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিরপুরের একাধিক বাসিন্দা বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে আতাত করে মিরপুর ওয়াসা নিজের কজ্বায় নিয়েছেন শামসুল হক। কর্মচারী হয়েও নিয়ন্ত্রণ করেন বড় কর্তাদের।
সীমাহীন অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসা মডস জোন-৪ এর পি.এল.আই কর্মচারী শামসুল হক যে কোটি কোটি টাকার মালিক মিরপুরবাসীর প্রায় সবারই জানা।
এই শামসুল হকের নেতৃত্বে ঢাকা ওয়াসা মডস জোন-৪ এ একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এখনে নতুন আসা সৎ কর্মকর্তাদের জন্য অভিশাপ বলে জানিয়েছেন এই জোন থেকে বদলী হওয়া একাধিক কর্মকর্তা।
সংবাদচিত্র ডটকম/দুদক