দেনা-পাওনার হিসাব দিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে ২১দিন সময়ে বেঁধে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১১ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকসী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালি’র কাছে ছয়টি প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়। যেখানে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের নিকট মোট ৪০৭ কোটি টাকা দায়ের বিপরীতে ইভ্যালি’র কাছে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কারণ, বাকি টাকা ইভ্যালি’র কাছে আছে কি-না; থাকলে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। না থাকলে দিতে হবে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা। এসব প্রশ্নের উত্তরের জন্য ছয় মাস সময় চেয়েছে ইভ্যালি। কিন্তু মন্ত্রণালয় আগামী তিন সপ্তাহ বা ২১ দিনের মধ্যে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর চেয়েছে।
এর আগে ১লা আগস্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বাড়তি সময় চেয়ে ইভ্যালি বলেছে, তৃতীয় একটি নিরপেক্ষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইভ্যালি’র সম্পূর্ণ আর্থিক হিসাবের বিবরণী ও কোম্পানির মূল্যায়ন করতে হবে। কোম্পানির অবস্থান এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি উপস্থাপনের জন্য ছয় মাস সময় লাগবে। এরপরই সব প্রশ্নের জবাব দেয়া যাবে।
তারও আগে ১৯ জুলাই ইভ্যালি’র চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল-এর কাছে ছয় প্রশ্নের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ১লা আগস্টের মধ্যে এসব প্রশ্নের জবাব দিতে বলা হয়।
চলতি বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকের কাছে মোট দায়ের পরিমাণ কত? গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া অর্থের বিনিময়ে যে পণ্য দেয়ার কথা, সেগুলোর বর্তমান অবস্থা কী? এবং এই বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও জানতে চায় মন্ত্রণালয়। ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা এবং ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকার সংগে সামঞ্জস্যহীন কোনো ব্যবসা পদ্ধতি বা কার্যক্রম ইভ্যালিতে এখনও আছে কি-না, থাকলে সেটি কী-এসব বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা চাওয়া হয় ইভ্যালি’র কাছে।
সংবাদচিত্র/ব্যবসা বানিজ্য