হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়িসকে যে দলটি হত্যা করেছে তাদের বেশিরভাগই কলম্বিয়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
হাইতির পুলিশপ্রধান লিওন চার্লস বলেছেন, ওই ‘হিট স্কোয়াডে’র সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ২৬ জন কলম্বিয়ার নাগরিক ও দুইজন হাইতিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক।
এদের মধ্যে দুই মার্কিনিসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে, আটজন পলাতক। দলটির বাকি সদস্যরা রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে।
চার্লস আরও বলেন, এ বিদেশিরা প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে আমাদের দেশে আসে। আমরা তদন্ত ও পলাতক ৮ ভাড়াটে সেনাকে ধরতে অভিযান আরও জোরদার করবো
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) আটকদের মধ্যে কয়েকজনকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়; এসময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে জব্দ করা অস্ত্রশস্ত্র এবং কলম্বিয়ার পাসপোর্ট দেখায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
বুধবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হানা দিয়ে একদল বন্দুকধারী ময়িস এবং তার স্ত্রীর ওপর গুলি চালায়।
কর্তৃপক্ষ পরে ঘটনাস্থল থেকে ময়িসের মৃতদেহ উদ্ধার করে; তার গুলিবিদ্ধ স্ত্রী মার্টিনকে ফ্লোরিডায় উড়িয়ে নেয়া হয়।
মার্টিনের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্টের ওপর এই হামলার পরিকল্পনা কারা করেছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফ বিবিসিকে বলেছেন, হাইতির অভিজাত ধনীদের বিরুদ্ধে ময়িসের লড়াই-ই তাকে ‘টার্গেটে’ পরিণত করতে পারে।
এদিকে হাইতির তদন্ত কার্যক্রমে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে কলম্বিয়া।
সংবাদচিত্র/আন্তর্জাতিক