রাজধানীতে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ২১টি হাটে ঢুকছে কোরবানির পশু। ২১ জুলাই ঈদ, বাকি এক সপ্তাহ। তাই ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত গরু আনায়। কিন্তু হাট কিংবা ট্রাক কোথাও মানা হচ্ছে না কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। কারো মুখে নেই মাস্ক, কেউ মানছেন না সামাজিক দূরত্ব।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর গাবতলী, আমিন বাজারসহ বিভিন্ন প্রবেশ মুখ দিয়ে ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে কোরবানির পশু। প্রতিটি ট্রাকেই ১৫ থেকে ২০টি করে পশু রয়েছে। পশুর সংগে ট্রাকে নেওয়া হচ্ছে খড় এবং পশুগুলোর দেখভালের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষ। কেউ মানছেন না স্বাস্থ্য সুরক্ষা।
গরু ব্যবসায়ীরা জানান, ট্রাকে গরু, সংগে খড়- সবমিলে অতিরিক্ত গরমের কারণে মাস্ক মুখে রাখা যাচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, সারাবছর ব্যক্তি পর্যায়ে ও খামারিরা কোরবানির জন্য যে পশু পালন করেন, ব্যবসায়ীরা তা সংগ্রহ করে রাজধানীতে নিয়ে আসেন। আবার অনেক সময়ে কয়েকজন খামারি মিলে একটি ট্রাক ভাড়া করে নিজেরাই পশু আনেন রাজধানীতে। কারণ, এর চাহিদা বেশি এবং ভালো দামও পাওয়া যায়।
গরু ব্যবসায়ী আনিস জানায়, গ্রামের মানুষ এক গরুতে অনেকে শরীক হয়ে কোরবানি দেয়। এতে গরু বিক্রি কম হয়, দামও কম পাওয়া যায় তাই ঢাকায় আসছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে জানান, মাস্ক আছে কিন্তু গরমের কারণে পড়ছে না।
বগুড়া থেকে গরু নিয়ে আসা আরেক খামারি জসিম বলেন, গুরুগুলো রাজধানীর দনিয়া কলেজের মাঠে নিয়ে যাবো। আশা করি, সেখানে গিয়ে ভালো দাম পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে বলেন, এক ট্রাকে গরু-খড়-মানুষ, আর কতো দূরত্ব মানা যায়!
এদিকে এবারের কোরবানির ঈদে স্বাস্থ সুরক্ষায় পশুর হাটগুলোয় ভিড়ভাট্টা এড়াতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পশু কেনা বেচা করছেন। যেখানে ক্রেতারা ঘরে বসেই পশুর ছবি ও ভিডিও দেখে গরু পছন্দ করতে পারবেন।
সংবাদচিত্র/কোরবানির পশু