ইউরো’র আসরে ২৯ পঞ্জিকাবর্ষ আগে এমনই এক চমক দিয়েছিলো ডেনমার্ক। তাঁরা ৯২ ইউরো’র আসরে ঘরে তুলেছিলো শিরোপা। অথচ তাদের আসরে খেলারই কথা ছিলো না। যু্দ্ধের কারণে যুগোস্লাভিয়া অংশ না নেয়ায় অষ্টম দল হিসেবে এক সপ্তাহের নোটিশে ইউরো’য় এসেছিলো তাঁরা। এরপর উপহার দিয়েছিলো বিস্ময়।
আন্ডারডগ হিসেবেই ইউরো’র ১৬তম আসরে অংশ নিয়েছিলো ডেনিসরা। তবে প্রথম ম্যাচেই অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের মাঠে জ্ঞান হারানো ও ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর চলছে ডেনিসদের চমক। যেন ১২জন নিয়ে খেলছে তাঁরা। এরিকসন-এর শক্তি যেন ভর করেছে তাদের হৃদয়ে। চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে তাই টুয়েলভ ম্যানের প্রতি সম্মান জানালো ডেনমার্ক। উঠে গেলো সেমিফাইনালে।
আজারবাইজান-এর বাকি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শনিবার (৩ জুলাই) এরিকসনকে সংগে নিয়েই নেমেছিলেন ডেনিসরা। স্টেডিয়ামে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিলো ডেনিস অধিনায়কের বিশাল নাম্বার টেন জার্সি। চেক অধিনায়কের হাতেও তুলে দেয়া হয় একটা স্মারক জার্সি।
এরপর ম্যাচের ৫ মিনিটেই ডিলানি গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। দলকে ভাসান উল্লাসে। দ্বিতীয়ার্ধের ঠিক আগে ডোলবিয়ার দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন। দলকে এগিয়ে নেন ২-০ ব্যবধানে। উজ্জ্বল করেন সেমিফাইনালের আশা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই (৪৯ মিনিটে) গোল করে ঘুরে দাঁড়ায় চেক প্রজাতন্ত্র।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা ডেনিসদের গতি ও গোছানো ফুটবলের সংগে পেরে ওঠেনি। আক্রমণ চেকরাও করেছে। তবে ডেনিসদের মতো নয়। গোল হওয়ার মতো আরও অন্তত চারটি শট ফিরিয়েছেন চেক গোলরক্ষক। যোগ্য দল হিসেবেই তাঁরা তাই শেষ চারে উঠেছে। এখন ইংল্যান্ড ও ইউক্রেন ম্যাচের দিকে তারিয়ে তাঁরা। জয়ী দলের বিপক্ষে যে লড়তে হবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াই।
সংবাদচিত্র/খেলা/মাসুদ