করোনায় সারাদেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও বাড়েনি নমুনা পরীক্ষার সুবিধা। এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এখনও প্রতিদিন পরীক্ষা হচ্ছে ৪০ হাজারের নিচেই। উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের বেশি পরীক্ষা করে আলাদা করার পরামর্শ থাকলেও লোকবল সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতায় বাড়ছে না পরীক্ষা, দাবি কর্তৃপক্ষের।
দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল ঢাকা মেডিকেল। দেশের নানা প্রান্ত থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন এখানে। মহামারিতে কর্মব্যস্ততা থেমে না থাকলেও এই হাসপাতালটিতে সুযোগ নেই বাইরের কারো করোনা পরীক্ষার।
একই অবস্থা করোনার জন্য বিশেষায়িত কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালেও। ভর্তি রোগীর বাইরে ১০০’র বেশি নমুনার পরীক্ষার সুযোগ নেই হাসপাতালটিতে। পরীক্ষা করাতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ সেহাব উদ্দিন বলেন, জনবল সংকটের কারণে বাড়ানো যাচ্ছে না নমুনা সংগ্রহ।
উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ জনস্বাস্থ্যবিদদের। চেষ্টা থাকলেও পরীক্ষা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
এদিকে রাজধানীর বাইরে করোনা পরীক্ষার সুযোগ আরও সীমিত। শনাক্ত না হওয়া রোগীরা অন্যদের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংবাদচিত্র/স্বাস্থ্য