দলের শূন্য রানে বিদায় নেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলীয় রান পঞ্চাশ ছাড়াতেই শেষ হয় ৩ উইকেট। ঝান্ডা উচিয়ে ব্যাট করতে পছন্দ করা লিটন দাসকে চুপসে যেতে হয় ক্ষণিকের জন্য। এরপর দায়িত্ব নিয়ে পরিপক্ক এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। জুটি গড়েছেন মাহমুদুল্লাহ-আফিফদের সংগে। আর এই ৩জনের ব্যাটে ভর করেই বিপদে পড়া বাংলাদেশ স্বাগতিকদের ২৭৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে।
শীতের শিশির পাওয়া হারারে স্পোর্টস ক্লাবের উইকেটে ব্যাট করা কঠিন ছিলো। তামিম টস জিতলে বোলিং নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পক্ষে আসেনি ভাগ্য। ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই ফিরে যান শুরুর চার ব্যাটসম্যান। সেখান থেকে ৯৩ রানের জুটি গড়ে লিটন দাস ও মাহমুদুল্লাহ দলকে বাঁচান। মিডল অর্ডারের ভরসা মাহমুদুল্লাহ ফিরে যান ৩৩ রান করে।
অন্য প্রান্তে অবিচল থেকে লিটন দাস তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। জিম্বাবুয়ে’র বিপক্ষে তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরিটা ছিলো ১১৪ বলে ৮ চারে ১০২ রানের। তিনি ফিরে গেলে ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন ফিনিসার রোলে খেলা আফিফ হোসেন। দ্রুত রান তুললে পটু এই ব্যাটসম্যান ৩৫ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ৪৫ রান করেন।
স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি মিরাজ-এর সংগে আফিফ গড়েন ৫৮ রানের জুটি। ওই জুটিতে মিরাজ-এর অবদান ছিলো ২৫ বলে ২৬ রান। এর আগে সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুন ১৯ করে রান করেন। তামিম-সাকিব-এর পাশাপাশি ব্যর্থ হন মোসাদ্দেক হোসেন (৫রান)। জিম্বাবুয়ে’র হয়ে লুক জংওয়ে নেন ৩ উইকেট।
পারিবারিক কারণে জিম্বাবুয়ে সফর থেকে মুশফিকুর রহিম দেশে ফিরে এসেছেন। তাঁর জায়গায় মিডল অর্ডারের বিবেচনায় দলে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন। ইনজুরি’র কারণে খেলতে পারছেন না মুস্তাফিজুর রহমান। তরুণ বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল আছেন তাঁর জায়গায়। তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ।
সংবাদচিত্র/ক্রিকেট