করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমশঃ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। সর্বাত্মক লকডাউন দিয়েও সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। মানুষের চলাচল কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সর্বাত্মক লকডাউনের ১২তম দিনে (১২ জুলাই) এসেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত হবার বদলে আগ্রাসী হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।
গতকাল রবিবার (১১ জুলাই) করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এই পর্যন্ত মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড। এই নিয়ে দেশে মোট ১৬ হাজার ৪১৯ জনের মৃত্যু হলো। এই মৃত্যুর সংখ্যায় উপসর্গে মৃতদের হিসাব করা হয়নি। শনাক্তের হিসাবেও গতকাল রেকর্ড হয়েছে। মোট ১১ হাজার ৮৭৪ জন নতুন শনাক্তসহ মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে।
চলতি সর্বাত্মক লকডাউনের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে ১৪ জুলাই। সামনে মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব- ঈদুল আযহা। এই অবস্থায় সর্বাত্মক লকডাউন বাড়ানো হবে কি না সেই প্রশ্ন এবং সংশয় এখন সবার মনে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি গত রবিবার (১১ জুলাই) জানিয়েছিলেন, সোমবার (১২ জুলাই) রাতে এই সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। সেই অনুযায়ী ১৩ জুলাই বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত আদেশ জারি হবে। করোনা সংক্রমণ রোধে আরও এক সপ্তাহ চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউন’বা কঠোর বিধি-নিষেধ বাড়ানো হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহা ও কোরবানির হাট নিয়ন্ত্রণ করাই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এসব পরিস্থিতি সুনিয়ন্ত্রিতভাবে মোকাবিলা করতে চায় সরকার।
সংবাদচিত্র/জাতীয়