চলমান কঠোর লকডাউনের সপ্তম দিনেই
পাল্টে গেছে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোর চেহারা, বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মানুষের চলাচল। কোথাও কোথাও দেখা গেছে প্রাইভেটকার ও রিকশা জট।
বিধিনিষেধে পরিষ্কার উল্লেখ ছিলো, লকডাউন চলাকালে যন্ত্রচালিত কোনো গাড়ি চলতে পারবেনা। হয়েছে তার উল্টো। প্রতিদিন জেল জরিমানা করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতি নমনীয়তায় মানুষ এবারের লকডাউনও উপেক্ষা করছে।
বুধবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঢাকার বিভিন্ন ব্যস্ততম মোড়ে প্রাইভেটকার ও রিকশার জটলা দেখা গেছে। এ সময় মনে হবে অন্যান্য সময়ের মতোই সব কিছু স্বাভাবিক।
আর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থিত চেকপোস্টে এ সময় প্রাইভেটকার ও রিকশার আরোহীদের বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চান দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর এতে কিছুটা সময় লাগায় পেছনে দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়।
এদিকে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্যরা। অপ্রয়োজনে বাইরে বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নেয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
এর আগে দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই সকাল থেকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে লকডাউন পালন করা হয়। এরপর কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ বাড়িয়ে তা ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়।
এমতাবস্থায় বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন মাঠ পর্যায়ে লকডাউন মানাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও সদস্যদের এখনই আরো কঠোর অবস্থান নিতে হবে। প্রধান সড়কের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লাতে টহল জোরদার করতে না পারলে করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।
সংবাদচিত্র/জাতীয়/আর.কে