সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের জেরে মিয়ানমার সামরিক জান্তার ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এবারে জান্তা সরকারের ৪ মন্ত্রী, স্টেট কাউন্সিলের ৩ সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ২২ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিতে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে এবং তাদের সঙ্গে কোনো মার্কিন নাগরিক বাণিজ্য করতে পারবেন না।
গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের শাস্তি হিসেবে জান্তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। বরং দেশটিকে দ্রুততম সময়ে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে নিতে সামরিক বাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবর অনুসারে, এই দফায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন মিয়ানমার জান্তার তথ্যমন্ত্রী চিট নাইং, বিনিয়োগমন্ত্রী অং নাইং ও, শ্রম ও অভিবাসন মন্ত্রী মিন্ট কিয়ায়িং এবং সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী থেট থেট খাইন।
দেশটির প্রভাবশালী স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের তিন সদস্যও রয়েছেন নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। এছাড়া কর্মকর্তাদের স্ত্রী-সন্তানসহ আরও ১৫ জনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং মে মাসে কয়েক দফায় মিয়ানমার জান্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও পশ্চিমা বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে মিয়ানমারের ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তথ্যমতে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে কমপক্ষে ৮৮৩ জনকে হত্যা করেছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। এদের মধ্যে অন্তত ৪০ জন মারা গেছেন বন্দি অবস্থায়। এছাড়া অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ থেকে অন্তত ৫ হাজার ২০২ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে বহুজাতিক সংস্থাটি।
সংবাদচিত্র/ডিএস/এফবি/পিআর