এক বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে যৌন নির্যাতনের ঘটনার মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃত আশরাফুল মন্ডল ওরফে ‘বস রাফি’ আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের অন্যতম মূলহোতা। সে গত আট বছরে ৫০০ নারীকে ভারতে পাচার করেছে। যাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়েছে। মানবপাচারকারী এ চক্রের সঙ্গে প্রায় ৫০ জন জড়িত।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, গ্রেফতার বস রাফির শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। আট বছর আগে থেকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে তার যাতায়াত শুরু। প্রথমে সেখানে ট্যাক্সি ড্রাইভার ও পরে হোটেলে রিসোর্ট কর্মচারী এবং কাপড়ের ব্যবসা করতেন। এছাড়াও গত দুই বছর আগে টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে বস রাফির পরিচয় হয়। এরপর টিকটক হৃদয়ের মাধ্যমে প্রায় অর্ধশতাধিক তরুণীকে ভারতে পাচার করেন তিনি।
এর আগে, সোমবার রাতে ঝিনাইদহ, যশোর ও অভয়নগরে অভিযান চালিয়ে বস রাফিসহ এ চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিরা হলেন ম্যাডাম শাহিদা, আরমান শেখ ও ইসমাইল। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে জানিয়েছে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহ আগে ভারতের কেরালায় ওই তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতন করা হয়। ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বাংলাদেশি কয়েকজন যুবক ও এক নারী ওই তরুণীকে নির্যাতন করেন। ওই তরুণীকে কেরালা রাজ্যে পাচার করেন বাংলাদেশি রিফাতুল ইসলাম হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক হৃদয় ও তার সহযোগীরা।
ওই তরুণীকে টিকটকে অভিনয়ের লোভ দেখিয়ে ভারতে নিয়ে যান হৃদয়। তরুণীকে উদ্ধারের পর প্রথমে বায়প্পানাহল্লি থানায় এবং পরে বাউরিং হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। তখন নির্যাতনের ঘটনায় ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভারতের বেঙ্গালুরু পুলিশ।