কোপা আমেরিকা অথবা বিশ্বকাপ ফুটবল, সব টুর্নামেন্টেই ফুটবলপ্রেমীদের একটা আশা থাকে। সেটি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে। ফুটবলপ্রেমীদের স্বপের সেই ম্যাচটিরই মঞ্চ প্রস্তুত কোপা আমেরিকায়।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ দিয়ে পর্দায় নামতে যাচ্ছে কোপা আমেরিকার এবারের আসর। করোনার প্রকোপের মাঝেও সফলভাবে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছে স্বাগতিক দেশ ব্রাজিল। আগামীকাল রোববার (১০ জুন) সকাল ৬টায় শিরোপা লড়াইয়ে সেলেসাওদের বিপক্ষে মাঠে নামবে আলবিসেলেস্তারা।
টুর্নামেন্ট বা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ১১১ বার মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা, যেখানে ৪৬ বার জয় পেয়েছে ব্রাজিল, ৪০টি ম্যাচে আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছে। ২৫টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। মুখোমুখি সাক্ষাতে ১৬৭টি গোল করেছে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল করেছে ১৭৭টি গোল।
শেষ ২০ বারের দেখায় ব্রাজিলর জয় ১১ বার জয় পেয়েছে। আর্জেন্টিনার জয় ৬ বার জয় পেয়েছে। দুই দল ড্র করেছে ৩ বার।এখন পর্যন্ত ১৪বার কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা, ৯ বার জিতেছে ব্রাজিল।
৪-৩-২- ১ ফরম্যাশনে খেলার সম্ভাবনা বেশি মেসিদের। এখন পর্যন্ত কোন ১১ জনকে নিয়ে নামবেন মাঠে তা ঘোষণা করেননি তিনি। তবে একাদশে কয়েকজনের নাম চূড়ান্ত এমনিতেই। যেমন গোলরক্ষক হিসেবে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ থাকছেন তা নিশ্চিতভাবেই। তাকে না নিলে স্কালোনিকে অবিবেচক বা বোকার খাতায় ফেলবে সমর্থকরা। টাইব্রেকারে কলম্বিয়াকে অবিশ্বাস্যভাবে রুখে দিয়ে দলকে ফাইনালে যে তিনিই এনেছেন।
এদিকে রক্ষণভাগে নিকোলাস ওতামেন্দির উপস্থিতিও নিশ্চিত। মাঝ মাঠে গুইদো রদ্রিগেজ ও রদ্রিগো ডি পল নিশ্চিত। আক্রমণভাগে লিওনেল মেসির সঙ্গে লাউতারো মার্টিনেজের থাকাও নিশ্চিত। মোটামুটি ১১ জনের মধ্যে ৬ জন চূড়ান্ত।
যাদের থাকা নিয়ে সংশয় তারা হলেন ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ানো রোমেরো। ইনজুরির কারণে গত ম্যাচে অনুপস্থিত থাকা রোমেরো ফাইনালে খেলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর না পারলে তার জায়গা জার্মান পেজ্জেল্লা নিশ্চিত। অথবা রোমেরোকে প্রথম অর্ধে খেলিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে পেজ্জেল্লাকে নামাতে পারেন স্কালোনি। সেমিতে পেজেল্লা ঠিকঠাকভাবেই দায়িত্ব নিভিয়েছিলেন।
রক্ষণের অন্য দুইটি পজিশনে নাহুয়েল মোলিনা ও গনজালো মন্টিয়েল এবং নিকোলাস তালিয়াফিকো ও মার্কস আকুনার মধ্যে লড়াই হবে । এ চারজনের মধ্যে দুজনকে দেখা যাবে চূড়ান্ত একাদশে। মোলিনো ও আকুনাকেই দেখা যেতে পারে বলে ধারণা।
মাঝ মাঠে শুধুমাত্র জিওভানি লো সেলসো ও লেয়ান্দ্র পারেদেসকে নিয়ে সংশয়। এ দুজনের যেকোনো একজনকে নামানো হবে মাঠে। তৃতীয় ফরোয়ার্ড হিসেবে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া নাকি নিকোলাস গনজালেজ- সে বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ম্যাচের ঠিক আগে। তবে ডি মারিয়াকে আগের ম্যাচের মতো বদলি হিসেবে দেখা যেতে পারে। বদলি নেমে দুর্দান্ত খেলেছিলেন তিনি। মাঠে নেমে ১০ মিনিটের মধ্যে প্রতিপক্ষের রক্ষণ নড়বড়ে করে দিয়েছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে গোলও পায় আর্জেন্টিনা।
ফাইনালে আর্জেন্টিনার সম্ভাব্য একাদশ:
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, নাহুয়েল মোলিনা/গনজালো মন্টিয়েল, জার্মান পেজ্জেল্লা/ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, মার্কোস আকুনা/নিকোলাস তালিয়াফিকো, রদ্রিগো ডি পল, গুইদো রদ্রিগেজ, জিওভান্নি লো সেলসো/লেয়ান্দ্র পারেদেস, লিওনেল মেসি, লাউতারো মার্টিনেজ, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া/নিকোলাস গনজালেজ।
সংবাদচিত্র/ডিএস/এফবি/আরএস