করিম রেজা:
বাজেটে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা নতুন করে কিছু পাননি। তবে দীর্ঘদিন ধরে পাওয়া সুযোগ-সুবিধাও বাতিল হয়নি। তারপরও বেশ কিছু দাবিদাওয়া তুলে ধরলেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা।
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আজ শনিবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ কথা জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি এস এম মান্নান, শহিদউল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘বাজেটে পোশাকশিল্পের ঘুরে দাঁড়ানো ও কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের বেশ কিছু প্রস্তাব থাকলেও তার প্রতিফলন ঘটেনি। যদিও বাজেটে পোশাক খাতের জন্য কর ও অন্যান্য নীতিমালার কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফলে উৎসে কর, করপোরেট কর ও প্রচলিত নগদ সহায়তা চলমান থাকবে। এটি ইতিবাচক দিক।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘করোনার কারণে নতুন বাজারগুলো অর্থনৈতিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেসব জায়গায় রপ্তানি কমে গেছে। তাই এসব নতুন বাজারে রপ্তানি ধরে রাখতে প্রণোদনার হার ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার আবেদন করছি।’ এ ছাড়া নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের অনুরোধ করে তিনি বলেন, করটি প্রত্যাহার করলে সরকার খুব বেশি রাজস্ব হারাবে না। কিন্তু শিল্প উপকৃত হবে। নগদ অর্থের প্রবাহ বাড়বে, তা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজে দেবে।
কৃত্রিম তন্তু বা ম্যান মেড ফাইবারের পোশাক রপ্তানিতে ১০ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘ম্যান মেড ফাইবারে বেশ কিছু বিনিয়োগ হলেও প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে টিকে থাকতে পারছি না আমরা। প্রণোদনা দিলে টিকে থাকার সুযোগ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে নতুন বিনিয়োগ আসার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।’
পোশাকশ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, পোশাকশ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে বিজিএমইএ ১২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ১টি হাসপাতাল পরিচালনা করছে। সেখান থেকে শ্রমিকেরা বিনা মূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পাচ্ছেন। এই কেন্দ্রগুলো পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে বিজিএমইএর ২১ লাখ টাকা খরচ হয়। বাজেটে বরাদ্দ দিয়ে বিশেষায়িত পদক্ষেপ নেওয়া হলে শ্রমিকেরা আরও বেশি উপকৃত হবেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিনা মূল্যে সেবা নিতে শ্রমিকদের হেলথ কার্ডের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।