বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামের ডিপটি বাড়ি এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দেলোয়ার হোসেন তালুকদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশী সন্ত্রাসীরা। এ সময় দেলোয়ারের ৩ ছেলে এবং এক ছেলের স্ত্রীকেও কুপিয়ে আহত করে তারা। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত দেলোয়ার হোসেন তালুকদার একজন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। আহতরা তার বড় ছেলে জুয়েল তালুকদার, সোহাগ তালুকদার ও জুয়েল তালুকদার এবং বিপ্লবের স্ত্রী রোজিনা বেগম। আহত ৪জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আটিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন তালুকদার বাড়ির পাশে ৩০ বছর আগে ২০ শতাংশ জমি কিনে ভোগ দখল করে আসছিলেন। এক সপ্তাহ আগে ওই জমিতে ধানের বীজ বপন করেন দেলোয়ার। আজ সকালে ওই জমিতে বীজ বপন করে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম সেপাই। খবর পেয়ে দেলোয়ার হোসেন তালুকদার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ধানের বীজ বপনে বাঁধা দেয়। এ সময় তারা তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জমিতে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে তার বড় ছেলে বিপ্লব ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও পিটিয়ে-কুপিয়ে ক্ষেতেই ফেলে রাখে তারা। এ সময় দেলোয়ারের অপর দুই ছেলে সোহাগ ও জুয়েল এবং বিপ্লবের স্ত্রী রোজিনা তাদের বাঁচাতে গেলে তাদেরও ট্যাট্যা সহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষেতে ফেলে রাখে। সকালের দিকে বৃস্টি হওয়ায় কেউ তাদের সাহায্যে এগিয়ে যায়নি।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আহত ৫ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় প্রতিবেশীরা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের পাঠানো হয় শের-ই বাংলা মেডিকেলে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন তালুকদারকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা এবং তার পরিবারের অপর ৪ সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন উজিরপুর থানার ওসি মো. আলী আর্শাদ।
সংবাদচিত্র/অপরাধ