দেশে গত দুদিনে মডার্নার ২৫ লাখ ও সিনোফার্মের ২০ লাখ করোনা টিকা এসেছে। নতুন করে এ ৪৫ লাখ টিকা আসায় টিকাদান পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আনছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে একটি পরিকল্পনা জাতীয় টিকা বিতরণ কমিটির কাছে দেওয়া হয়েছে। কমিটি অনুমোদন দিলেই দেশে আবার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। টিকার জন্য নতুন করে নিবন্ধনও করতে পারবে মানুষ। তবে ঠিক কবে নাগাদ গণটিকাদান ও নিবন্ধন শুরু হতে পারে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলতে না পারলেও ‘শিগগির’ শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে জাতীয় কভিড-১৯ টিকা বিতরণ টাস্কফোর্স কমিটির প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, টিকার পরিমাণের ওপর নির্ভর করে আমরা প্রতিনিয়তই টিকা বিতরণ কর্মসূচি হালনাগাদ করি। নতুন যে ৪৫ লাখ টিকা এসেছে, সেটা কীভাবে দেওয়া হবে, সেটা নিয়ে আমরা আগে থেকেই কাজ করছিলাম। গত শুক্রবার রাতে টিকা নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বসেছি। আমরা একটি খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। সেটা আমরা জাতীয় টিকা বিতরণ কমিটিকে দেখাব। কমিটি গ্রহণ করলে সেটা জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এখন সিনোফার্ম, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজারতিন ধরনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এখন মডার্না এলো। প্রাথমিক প্রস্তুতির পর এটাও দেওয়া শুরু করব।
অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিয়ে দেব। শিগগির গণটিকাদান শুরু হবে। প্রাথমিক প্রস্তুতিটুকু শেষ হলেই সারা দেশে আবার টিকা পাবে মানুষ। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে টিকাদান শুরু হবে কি না, তা নিশ্চিত নয় অধিদপ্তর। কারণ এই টিকা ঢাকার বাইরে পাঠাতে হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কিছু বিষয়ে অনুমোদন রাগবে। কয়েকটা ধাপ আছে প্রস্তুত শেষ করার। আমাদের লক্ষ্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গণটিকাদান শুরু করে দেব।
তিনি বলেন, সবাইকে যখন টিকা দেওয়া যাবে, তখন নিবন্ধন নতুন করে চালু করা হবে। নিবন্ধনের ব্যাপারেও আমাদের কিছু প্রস্তাবনা আছে। তবে ঠিক কবে থেকে সবার জন্য নিবন্ধন চালু হবে, সে তারিখও নির্দিষ্ট হয়নি। খুব শিগগির নিবন্ধন শুরু হবে।
সংবাদচিত্র/ডিএস/এফবি/পিআর