দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে শনাক্ত। মৃত্যুর মিছিল বড় হচ্ছে। বুধবার (৭ জুলাই) রেকর্ড ২০১ জন এবং বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ১৯৯ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। দেশের সব মহলে বাড়ছে উৎকন্ঠা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপি ‘করোনা মনিটরিং কমিটি’ গঠন করেছে। এই কমিটির উদ্যোগে প্রতি জেলায় হেল্প সেন্টারের মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে খুলনা, ঝিনাইদহ ও যশোরের জেলা অফিসে হেল্প সেন্টার খোলা হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু জানিয়েছেন, তারা করোনা হেল্প সেন্টার-এর মাধ্যমে আক্রান্ত খুলনাবাসীকে নিরবচ্ছিন্নভাবে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন। জরুরি এ্যামবুলেন্স সেবা, ওষুধ এবং অপেক্ষাকৃত দরিদ্র রোগীদের খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। এছাড়া করোনায় মৃত্যুবরণকারী মানুষের গোসল ও দাফনেও বিএনপি’র একটি টিম কাজ করছে।
করোনা মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে। তিনি বলেন, ‘গত বছর দুই কোটি মানুষের কাছে আমরা সাহায্য পৌঁছে দিতে পেরেছিলাম। এবার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আমরা আগের মতোই ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার প্রতিটি জেলায় আমাদের দলের অফিসে হেলথ সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ-সামগ্রী থাকবে। ইতিমধ্যে এই কাজ বেশ কয়েকটি জেলায় শুরু হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি জেলার অফিসে এই হেলথ সেন্টার গঠন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘দরিদ্র মানুষকে আর্থিক সাহায্য ও খাবার পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেহেতু লকডাউন, কোথাও গেলে আমরা প্রশাসনের থেকে বাধাপ্রাপ্ত হই। সেজন্য আমরা যে যা পারি, সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে মানুষকে সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছি। একটি বিরোধী দল হিসেবে এতো কষ্টের মধ্যেও করোনা রোগীদের পাশে আছি এবং কাজ করে যাচ্ছি।’
এই কঠিন সময়ে দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও মতের লোকদের সঙ্গে নিয়ে করোনা মোকাবিলায় সরকারকে কাজ করার কথা বলেছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে করোনা প্রকল্পকে এক নম্বর গুরুত্ব দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সংবাদচিত্র/রাজনীতি