ঢাকাই সিনেমায় হালের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদসহ ছয় জনকে আসামি করে সাভার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (১৪ জুন) মামলাটি দায়ের করা হয়।
এর আগে ভোরে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরীমণির অভিযোগ লিখিত আকারে গ্রহণ করা হয়। সকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি’র মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহতাব উদ্দিন। রবিবার রাতে সাংবাদিকদের কাছে এবং ফেসবুকে দেয়া পোস্টে পরীমণি ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন।
ফেসবুকে দেয়া পোস্টে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করে তিনি লেখেন, ‘বরাবর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি পরীমণি। এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
সাংবাদিকদের পরীমণি বলেন, বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তাঁর এক বন্ধু (অমি) বাসায় আসেন। বাসা থেকে তাঁকে উত্তরার বোট ক্লাবে (ঢাকা বোট ক্লাব) নিয়ে যাওয়া হয়। এই সময় তাঁর সংগে ছিলেন জিমি (ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী)। বোট ক্লাবে যাওয়ার পর সেখানে সাত-আট জনের একটা গ্রুপ ছিলো। তাদের মুরব্বি ছিলেন নাসির উদ্দিন (নাসির ইউ মাহমুদ)। তিনি বোর্ড ক্লাবের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেন।
‘নাসির মাহমুদসহ (নাসির ইউ মাহমুদ, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী) উপস্থিত সাত-আট জন আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করতে থাকে। আমাকে আটকে ফেলে। জোর করে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করার চেষ্টা করে। জিমিকে মারধর করা হয়। অশ্লীল নানান কথাবার্তা বলা হয়, মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়।’
নাসির মাহমুদ (নাসির ইউ মাহমুদ) তাঁর সংগে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেন পরীমণি।
সংবাদচিত্র/বিনোদন/আর.কে