শুরুর তিন ম্যাচেই জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিলো ব্রাজিল। ইকুয়েডরের বিপক্ষে তাই শুরুর একাদশের বেশ কিছু ফুটবলারকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ তিতে। দলের সেরা তারকা নেইমারকে যেমন মাঠেই নামাননি তিনি।
নেইমারহীন ব্রাজিল নিজেদের প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। দল যে পিএসজি তারকার ওপর নির্ভরশীল সেটাই প্রমাণ হয়েছে। প্রমাণ হয়েছে নেইমারহীন ব্রাজিল দল কানা। সেটা শুধু ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-১ গোলের সমতার জন্য নয়।
মাঠে ব্রাজিল সাম্বা নৃত্য দেখা পারেনি মোটেও। পুরো ম্যাচে সেলেকাওরা গোলে আক্রমণ করতে পেরেছে ছয়টি। তাঁর মধ্যে তিনটি আবার গোলের বাইরে। দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও। এছাড়া লুকাস পাকুয়েতা, গ্যাব্রিয়েল বারবোসারা সুযোগই তৈরি করতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি পেয়ে যায় ইকুয়েডর। ওই গোলে গ্রুপের শেষ ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট তুলে নিয়ে শেষ আটে পা রেখেছে তাঁরাও। ইকুয়েডর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর প্রায় ২০ মিনিট আধিপত্য বিস্তার করে খেলে। কাসেমিরো ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র বদলি হিসেবে নেমে গতির খেলা দেখিয়ে তাদের ওই আধিপত্য থামান।
এই নিয়ে পাঁচ বছর পর ব্রাজিলের বিপক্ষে পয়েন্ট পেলো ইকুয়েডর। দশ ম্যাচ পরে জয় ছাড়া মাঠ ছাড়লো সেলেকাওরা। সেজন্য ব্রাজিল কোচ তিতে ইকুয়েডরের আর্জেন্টাইন কোচ গুস্তাভো আলফারোর পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন।
সংবাদচিত্র/খেলা/মাসুদ