অনেক ব্যবসায়ীকে নির্ধারিত রেটের চেয়ে বেশি দামে ডলার কিনে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশন অভ বাংলাদেশ চেম্বারস অভ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ডলার মার্কেট নিয়ে গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, নির্ধারিত রেটে সবাই ডলার পাবেন।’
বৈঠকের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক ডলারের দাম নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন বাণিজ্য ভারসাম্য সমান, দাম বেশি হবার কথা না। ডলার রেট নির্ধারণ করে বাফেদা (বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন) ও এবিবি (অ্যাসোসিয়েশন অভ ব্যাংকারস, বাংলাদেশ)। আমরা তাদের দেওয়া রেট নিয়ে কাজ করি।’
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ‘ব্যাংক ঋণের সুদের হার না বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছি গভর্নরের কাছে।
‘এরই প্রেক্ষিতে গভর্নর বলেছেন ঋণের সুদ এখন স্মার্ট রেট অনুযায়ী চলছে, সুদহার অস্বাভাবিক হারে বাড়ার সুযোগ নেই। এখনকার পদ্ধতি অনুসারে সামান্য পরিমাণ ধাপে ধাপে বাড়তে পারে।’
মাহবুবুল আলম আরও জানান, বৈঠকে ঋণ পরিশোধ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুটি শিল্প খাতকে ঋণ পরিশোধ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
‘আরও কিছু খাতকে এ সুবিধা দেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে জানিয়েছি, যাতে ব্যবসায়ীরা ভালোমতো ব্যবসা করতে পারেন,’ বলেন তিনি।
এলসি খোলা নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমরা কথা বলেছি। তারা যেন এলসি খুলতে পারেন, এ বিষয়ে গভর্নর আশ্বস্ত করেছেন এবং ব্যাংকগুলোকে সেভাবেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।’
সংবাদচিত্র ডটকম/অর্থনীতি