দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা বেশি। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ হাজার ২৮২। এটি গত ৪৩ দিনের (প্রায় দেড় মাস) মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে গত ৩ মে মারা যান ৬৫ জন। একই সময়ে দেশে আরো ৩ হাজার ৯৫৬ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় অনেকটা বেশি। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৭।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। দেশে করোনা শনাক্তের পর থেকে প্রতিদিনই পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার আপডেট জানিয়েছে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৩ হাজার ৯৬৭টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ হাজার ৮০৭টি। এর মধ্যে আরো ৩ হাজার ৯৫৬ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় অকেটা বেশি। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৩১৯ জন। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৭ জন। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬২ লাখ ৪২ হাজার ৭৮৬টি।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরো ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি। আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশে এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু ১১২ জন, যা ছিল গত ১৯ এপ্রিল। এ নিয়ে দেশে মোট ১৩ হাজার ২৮২ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ এবং ২৪ জন নারী। এর মধ্যে ৫ জন বাড়িতে এবং বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৭৯ জন। এ পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৮ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৮, রাজশাহীতে ১৭, খুলনায় ১৪, সিলেটে ৬, রংপুরে ৪ এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।