কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত সময়ের আগেই পশুর হাট বসেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির বেশ কয়েকটি জায়গায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জনবসতিপূর্ণ এলাকা ও সড়কের মধ্যেই বসে গেছে কোরবানির পশুর হাট। এমনকি একটি অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার মত জায়গাও রাখা হয়নি।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীতে পশুর হাট বসার কথা ১৭ জুলাই শনিবার থেকে। শেষ হবে ঈদের দিন ২১শে জুলাই। কিন্তু ধূপখোলা মাঠে হাট বসে গেছে ৭ দিন আগেই!
নির্ধারিত সময়ের আগে কোনভাবেই হাট শুরু হওয়ার কথা নয়-কিন্তু ইজারাদাররা বিক্রেতাদের হাটে গরু নিয়ে আসতে বলছেন। তারা জানান,’ইজারাদার আসতে দিয়েছে, বাধা দেয়নি। ইজারাদারা না ঢুকতে দিলে আসা যায়?’
হাটের লোকজনের দাবি, গরু আগেভাগে আসলেও বেচাকেনা বন্ধ আছে। কিন্তু হাট ঘুরে দেখা গেল বেচাকেনাও ঠিকই চলছে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় পশুর হাটে নারী, শিশু ও বয়ষ্কদের যেতে নিষেধ করেছে। কিন্তু হাটে এই তিন শ্রেণির মানুষকেই দেখা গেল। আর সবচেয়ে বেশি শিশু।
পশুর হাট নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে ২৩ টি নির্দেশনা দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কোন অবস্থাতেই বদ্ধ জায়গা এবং সড়কে হাট বসানো যাবেনা। কিন্তু হাজারিবাগে হাট বসেছে মহল্লার মধ্যে সড়কের উপরে। ইজারা দিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
অবস্থা এমন যে একটি অ্যাম্বুলেন্সও যাওয়ার জায়গা নেই। হাট নিয়ে এলাকাবাসীর বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও তা শোনার কেউ নেই।
এসব নিয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, কোন ইজারাদার নিয়মের ব্যাত্যয় করলে ইজারা বাতিল করা হতে পারে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন,’১৬ তারিখের আগে যদি হাট বসে তবে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন যদি শর্ত ভঙ্গ হয়, প্রয়োজনে বাতিল করে দিবো।’
দু-তিনদিন হলো এই হাট বসলেও ইজারাদারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি।
সংবাদচিত্র/ডিএসসিসি