চীনের কঠোর জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতি না মেনে ৯০ হাজার ইউয়ান জরিমানা দিলেন এক ব্যক্তি। চীনে দুই সন্তান নীতি চালু রয়েছে। যদিও এই ব্যক্তি দুটি পুত্র সন্তানের আশায় একের পর এক সন্তান জন্ম দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তার মোট সন্তানের সংখ্যা গিয়ে ঠেকে আটে।
আইন ভঙ্গ করায় ওই ব্যক্তিকে প্রথমে ২৬ লক্ষ ইউয়ান জরিমানা করা হয়েছিল। তবে কয়েক বছর ধরে দর কষাকষির পর জরিমানা কমে হয়েছে ৯০ হাজার ইউয়ান।
পেশায় কৃষক ৫০ বছরের লিউ সিচুয়ান প্রদেশের আনিউ কাউন্টির বাসিন্দা। বিয়ের পর তার স্ত্রী পরপর পাঁচ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তবে ২০০৬ সালে তাদের ঘরে পুত্র সন্তান আসে। যদিও আরও এক পুত্র সন্তান চাইছিলেন দম্পতি। তবে পুত্র সন্তানের পর তাদের কন্যা সন্তান হয়।
এরপর ২০১০ সালে আরও এক পুত্র সন্তান ঘর আলো করে আসে। যেহেতু আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না, তাই ওই কৃষক দুই পুত্র সন্তানের মাঝে হওয়া কন্যা সন্তানটিকে একজনকে উপহার দেন। অবশ্য ২০১৬ সালে লিউয়ের জীবনে পরিবর্তন আসে। ওই বছর স্ত্রী-র সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর তিনি আবারও বিয়ে করেন। বর্তমানে সাত সন্তান ও নতুন স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করছেন লিউ।
পরিবার পরিকল্পনার জন্য চীনে বেশ কয়েকটি আইন রয়েছে। জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে ১৯৭৯ সালে চীনে এক সন্তান নীতি চালু হয়। ২০১৬ সালে দুই সন্তান জন্ম দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়৷ তবে, সম্প্রতি মাতাত্মক ভাবে অল্পবয়সিদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বেজিং জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতি কিছুটা শিথিল করেছে।
সংবাদচিত্র/আন্তর্জাতিক