টাইব্রেকারে দুর্দান্ত সেভ করেছেন আর্জেন্টিনা’র অ্যাস্টন ভিলা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কলম্বিয়া’র নেয়া পাঁচ পেনাল্টি শটের তিনটিই ফিরিয়েছেন তিনি। পেনাল্টিতে ৩-২ ব্যবধানে জিতে দলকে তুলেছেন কোপা আমেরিকা’র ফাইনালে।
আগামী ১১ জুন সকাল ছয়টায় শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। লউতারো মার্টিনেজ-এর ৭ মিনিটের গোলে লিড নেয় আলবেসেলেস্তেরা। রক্ষণ দেয়াল উঁচু করে খেলা কলম্বিয়া’র বিপক্ষে পরেও বেশ কিছু সুযোগ তাঁরা পেয়েছে। কিন্তু লউতারো মার্টিনেজ-নাহুয়েল গঞ্জালেসরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি।
সুযোগ নিয়ে ম্যাচের ৬১ মিনিটে সমতায় ফেরে ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ খেলা কলম্বিয়া। পুরো ম্যাচে তাঁরা ২৭টি ফাউল করেছে। আর্জেন্টিনাও কম যায় না। ইয়ারি মিনা-উইলসন বেরোইসদের সংগে পেরে উঠতে ২০টি ফাউল করতে হয়েছে আলবেসেলস্তেদের।
রক্ষণ সামলে কলম্বিয়া’র রাফ খেলার পরও গোল করার মতো অন্তত দুটি সহজ সুযোগ মিস করেছে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ম্যাচ তাই গড়ায় টাইব্রেকারে। লটারির খেলায় একমাস আগে আর্জেন্টিনা’র জার্সিতে অভিষেক হওয়া গোলরক্ষক মার্টিনেজ তাঁর জাত চিনিয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন কেনো তাকে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক বলা হয়।
টাইব্রেকারে প্রথম শটে গোল করেন কলম্বিয়া’র কোয়াদ্রদো ও আর্জেন্টিনা’র মেসি। কিন্তু দ্বিতীয় শটটা মিস করে দু’দলই। সানচেজ-এর শট ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক। ওদিকে রদ্রিগো ডি পাউল পোস্টে বলই রাখতে পারেননি। মারেন বিশাল ‘ছক্কা’।
পরের দুই শটই জালে জড়ান আর্জেন্টিনা’র লিয়ান্দ্রো প্যারাদেস ও লউতারো মার্টিনজে। কলম্বিয়া’র শেষ তিন শটের দুটি ফিরিয়ে দেন অ্যাস্টন ভিলা’র গোলরক্ষক মার্টিনেজ। ইয়ারি মিনা ও কার্দোনা’র বাঁ-পাশে নেওয়া দুটি শটই পড়ে ফেলেন তিনি। ওই শট ফিরিয়ে দলকে এনে দেন উদযাপনের উপলক্ষ্য।
এবার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা’র কোপা আমেরিকা’র ফাইনাল জয়ের লড়াইয়ের পালা। মেসির সামনে সুযোগ ব্রাজিল-এর বিপক্ষে ২০০৭ কোপা আমেরিকা’র ফাইনাল হারের প্রতিশোধ নেয়ার। সুযোগ ২০১৯ কোপা’র সেমিফাইনালে বিতর্কিত হারের শোধ নেয়ার। বার্সা তারকার সামনে সুযোগ প্রথমবার দেশের জার্সিতে শিরোপা উচিয়ে ধরার। নেইমার-এর সামনেও প্রথম কোপা আমেরিকা ছুঁয়ে দেখার সুযোগ। ইনজুরির কারণে গত আসরে খেলা হয়নি তাঁর।
সংবাদচিত্র/ফুটবল/মাসুদ