রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে ইংল্যান্ড। তিন বছর পরে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে উঠেছে ফাইনালে। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পরে দ্বিতীয় শিরোপা জেতার আশা তাদের। দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট-এর হাতে আছে ‘সোনালি প্রজন্ম’ খ্যাত হ্যারি কেন, রাহিম র্স্টালিং, জর্ডান হ্যান্ডারসন, জাদন সানকোদের নিয়ে গড়া দল।
অন্যদিকে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও একবার ইউরো ঘরে তোলা ইতালি সর্বশেষ বিশ্বকাপে জায়গা পায়নি। রবার্ট ম্যানচিনি ওই দলটার দায়িত্ব নিয়ে চেহারা বদলে দিয়েছেন। আজ্জুরিরা ৩১ ম্যাচে অপরাজিত থেকে ৮০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। তরুণ লোকাতেল্লি-চিয়েসা এবং অভিজ্ঞ চিয়েল্লিনি-বনুচ্চি-ইমোবিলেদের নিয়ে দুর্দান্ত দল ইতালিরও।
আজ রবিবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাত ১টায় শুরু হওয়া ম্যাচে শেষ হাসি কোন দল হাসবে? ইংল্যান্ড-এর ঐতিহাসিক ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে হওয়া ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ঘরে থাকবে না কি ইতালি’র রোমে যাবে বলা কঠিন। তবে বড় আসরে শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতা এবং রক্ষণ-আক্রমণমিলে ভারসাম্য দল থাকায় এগিয়ে আছে ইতালি।
চলতি আসরে ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১২ গোল দিয়েছে ম্যানচিনি’র দল। গোল হজম করেছে তিনটি। সর্বশেষ ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের ফল না হওয়ায় টাইব্রেকারে জয় তুলে নিয়েছে তাঁরা। অন্যদিকে ইংল্যান্ড ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে গোল দিয়েছে ১০টি। গোল হজম করেছে মাত্র একটি।
মুখোমুখি লড়াইয়ে ইংল্যান্ড-এর চেয়ে এগিয়ে আছে ইতালি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই পর্যন্ত দুই দল ২৮ ম্যাচ খেলেছে। ইংল্যান্ড জয় পেয়েছে আটটি। দশ ম্যাচ নিজেদের পক্ষে নিয়েছে আজ্জুরিরা। বাকি নয় ম্যাচ শেষ হয়েছে সমতায়। তবে বড় আসরে দুই দলের আট দেখায় ইংল্যান্ড জয় দেখেছে মাত্র একটি। সর্বশেষ জয়টাও ৪৩ বছর আগে।
এবার অভিজ্ঞ ইতালিকে হারিয়ে রেকর্ডেও পরিবর্তন আনতে হবে ইংল্যান্ড-এর। ফাইনালে ইতালি’র ভয় কেবল রেফারি। ইংল্যান্ড ম্যাচ খেলবে ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে। ইংলিশদের শিরোপা জেতার পথে গায়ে কালি লাগানোর স্বভাবও আছে। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের শিরোপা তাঁরা ‘চুরি’ করেছিলো বলে অভিযোগ আছে। চলতি ইউরো’র সেমিফাইনালে তাঁরা ডেনমার্ককে হারিয়েছে বিতর্কিত পেনাল্টি পাওয়ার পরে ফিরতি শটে।
সংবাদচিত্র/ইউরো কাপ ফাইনাল