জর্ডানের কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন তার দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া জর্ডান ও বাংলাদেশের মধ্যে কৃষি অভিজ্ঞতা বিনিময় দুই দেশেরই অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন।
গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) জর্ডানের রাজধানী আম্মানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহানের সঙ্গে এক বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী খালিদ হুনেইফাত একথা বলেন।
উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বর্তমানে জর্ডানের পোশাক খাতে কর্মরত বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীর সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রেও বাংলাদেশের অংশগ্রহণের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে অনেক দেশে সবুজায়ন ও কৃষিকাজে বাংলাদেশি কর্মীরা বেশ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। কৃষিকাজের অভিজ্ঞতার কারণে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও ইউরোপ ও আফ্রিকার অনেক দেশেই বাংলাদেশি কৃষি কর্মীদের চাহিদা রয়েছে। কাজেই জর্ডান সরকার তার দেশের কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে বাংলাদেশি কৃষিকর্মীদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্য, প্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদিসহ নানা ক্ষেত্রে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খাদ্য ও মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কৃষি সফলতার কারণে করোনা মহামারি সময়েও বাংলাদেশ ৫ দশমিক ২০ জিডিপি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একমত পোষণ করে জর্ডানের কৃষিমন্ত্রী খালিদ হুনেইফাত তার দেশের কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিষয়ে আগ্রহ দেখান এবং সক্রিয় বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত জর্ডানের সঙ্গে পূর্বে সম্পাদিত কৃষি সংক্রান্ত চুক্তিটি নবায়নের বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন এবং এই বিষয়ে জর্ডানের উত্থাপিত বিষয়গুলো এ বছরের সম্ভাব্য ফরেন অফিস কন্সাল্টেসানে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান।
সংবাদচিত্র/প্রবাস