দেশে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ঢাকার পার্শ্ববর্তী ৭টি জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালে জরুরি সেবা ব্যতীত অফিস-আদালতসহ সব কিছু বন্ধ থাকবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ জুন) ভোর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। চলবে আগামী ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৭ জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। জেলাগুলো হলো- গাজীপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় শুধু আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা যেমন- খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, কৃষি উপকরণ, স্বাস্থ্যসেবা, ত্রাণ বিতরণ, বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস বা জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বন্দরগুলোর কার্যক্রম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, ডাক সেবা এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
এ ছাড়া অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাকগুলোও এই বিধিনিষেধের আওতায় পড়বে না বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব এই ৭ জেলায় কী কী বন্ধ থাকবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, সবকিছু বন্ধ থাকবে। যাতায়াত করতে পারবে না মানুষও। অ্যাম্বুলেন্স ও মালবাহী ট্রাক ছাড়া কিছুই চলবে না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘জেলাগুলো ব্লকড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।’ এসব জেলায় সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বলেই তো দিলাম, সব বন্ধ, শুধু কয়েকটা সার্ভিস ছাড়া।’
উল্লেখ্য, গত বেশ কিছু দিন ধরেই আবারো দেশে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থায় স্থানীয়ভাবে প্রথমে ভারতীয় সীমান্তের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা ও দিনাজপুর জেলার কিছু কিছু অংশে লকডাউন জারি করা হয়।
পরবর্তীতে রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা, নোয়াখালী, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী এবং আরো কিছু জেলার নির্দিষ্ট অংশে কঠোর লকডাউন তথা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
সংবাদচিত্র/জাতীয়/রেজা খান