হোমে নয় ইউরো কাপ গেলো রোমে। ওয়েম্বলি’র ভরা স্টেডিয়াম। দর্শকের কান ফাঁটা গান-চিৎকার। করোনাকালে ইউরো ফাইনাল দিয়ে ফুটবল ফিরেছে আসল রূপে। ভক্তদের হতাশ করেনি ইংল্যান্ড ও ইতালি। দেখিয়েছে উচ্ছ্বাস-রোমাঞ্চের ১২০ মিনিটের ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার লটারিতে ৩-২ ব্যবধানে জিতে রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়া ইতালিই চ্যাম্পিয়ন।
ঘরের মাঠে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইতালিকে স্তব্ধ করে দেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচের ২ মিনিটে গোল করে লুক শ’ ইংল্যান্ডকে লিড এনে দেয়। প্রথমার্ধে আরও কিছু আক্রমণ করে তাঁরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষাণত্মক খেলায় কাল হয়েছে তাদের। ৬৭ মিনিটে লিওনার্দো বনুচ্চি গোল করে আজ্জুরিদের ম্যাচে ফেরান। তাঁরা ওই গোলই টাইব্রেকারে নিয়ে যায় ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত এনে দেয় শিরোপা।
ওয়েম্বলিতে ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিলো ইংল্যান্ড। ৫৫ বছর পরে দ্বিতীবার বড় আসরের ফাইনালে উঠে নিজেদের দর্শক ভরা স্টেডিয়ামে শিরোপা ঘরে তুলতে আশাবাদী ছিলো তাঁরা। কিন্তু বড় আসরের অভিজ্ঞ দল ইতালি’র সংগে পেরে উঠলো না। চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আজ্জুরিরা ঘরে তুললো দ্বিতীয় ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচ ১-১ গোলে সমতায় শেষ হওয়ায় গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। দুই অর্ধের ত্রিশ মিনিটে কোনো দল গোল করতে না পারায় গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে প্রথম শটেই গোল করে দুই দল।
ইতালি’র দ্বিতীয় শট ফিরিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। এরপর দ্বিতীয় শটে গোল করে শিরোপার আশা জাগায় হ্যারি মাগুইরে। তৃতীয় শটে গোল করে সমতায় ফেরে ইতালি।
কিন্তু পরের তিন শটে আর গোল দিতে পারেনি ইংল্যান্ড। তিন তরুণ মার্কোস রাশফোর্ড, জাদন সানকো এবং সাকা পেনাল্টি মিস করেন। চতুর্থ শটটি ইতালি’র অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার জর্জিনহো মিস করেন। ইংল্যান্ড শেষ শটে তাই গোল করতে পারলে আরও শট দেখা যেতো। কিন্তু সাকা’র নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন ইতালি’র জায়ান্ট গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুমা।
সংবাদচিত্র/ইউরো কাপ ফাইনাল