বড় আসরে হাতে বরাবরই ভালো দল থাকে ইংল্যান্ড-এর। কিন্তু চোকিং করে বিদায় নেয়াই যেন লেখা থাকে তাদের ভাগ্যে। ক্রিকেটে অনেকটা দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা নিউজিল্যান্ড-এর মতো। সেই ধারা ভাঙতে মুখিয়ে থাকা ইংল্যান্ড ৪-০ গোলে ইউক্রেনকে উড়িয়ে উঠে গেছে ইউরো’র সেমিফাইনালে।
ইউরো’র ১৬ আসরের মধ্যে দশটিতে খেলে ইংল্যান্ড এই নিয়ে সেমিফাইনালে উঠলো দু’বার। এর আগে ১৯৯৬ ইউরো’র শেষ চার ছিলো তাদের সেরা সাফল্য। এছাড়া আগে দু’বার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে তাঁরা। বিশ্বকাপেও গল্পটা ভিন্ন নয়। ১৯৬৬’র বিশ্বকাপ জয়ের পর তাঁরা সেমিতে খেলেছে মাত্র দু’বার। ১৫ আসরের মধ্যে শেষ আটে বিদায় হয়েছে ছয়বার।
সেই ধারা ভাঙার লড়াইয়ে ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথায় গোল করেন ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেন। ম্যানসিটি’র উইঙ্গার রাহিম র্স্টালিং-এর বাড়ানো দারুণ বলে পা ঠেকিয়ে জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ওই লিডেই প্রথমার্ধ শেষ করে ইংলিশরা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করার লড়াইয়ে নেমে শুরুতেই দুই গোল হজম করে ইউক্রেন। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে গোল করেন ইংল্যান্ড-এর ম্যানইউ-তে খেলা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হ্যারি মাগুইরে। এরপর ৫০ মিনিটে আবার গোল করেন স্পার্স স্ট্রাইকার হ্যারি কেন। দুই গোলেই সহায়তা দেন লুক শ’। এরপর ৬৩ মিনিটে ইউক্রেনের জালে গোলের হালি পূর্ণ করেন লিভারপুল অধিনায়ক জর্ডান হ্যান্ডারসন। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর বড় আসরের নকআউটে চার গোল দেওয়ার রেকর্ড গড়েন।
ইংল্যান্ড-এর আরও বড় ব্যবধানে জয় পাওয়ার সুযোগ ছিলো। তবে সেমিফাইনালের কথা চিন্তা করে কোচ গ্যারেথ সাউথগেট হ্যারি কেন, রাহিম র্স্টালিং ও হ্যান্ডারসনদের বিশ্রাম দেন। বাজিয়ে দেখেন মার্কোস রাশফোর্ড, কিয়েরন ট্রিপিয়ার ও জুডে বেলিংহামদের। তাঁরাও ভালো খেলেছেন। কিন্তু দলকে আর গোল এনে দিতে পারেননি। ইংল্যান্ড ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ডেনমার্ক-এর।
সংবাদচিত্র/খেলা/রেজা