আসলাম ইকবাল:
অঞ্জন আইচ ১৩ বছর ধরে নাটক নির্মাণ করে আসছেন। এই সময়ে প্রায় আড়াই শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সহকর্মী নির্মাতাদের কাছ থেকে শুনে আসছিলেন, সেন্সর বোর্ড নানা রকম ভুল ধরে। বারবার সংশোধন করতে দেয়, সিনেমা নিয়ে নানা রকম জটিলতায় পড়তে হয়। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে এসব শুনে সেন্সর পাওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত দুশ্চিন্তায় ছিলেন অঞ্জন আইচ। তিনি বলেন, ‘একজন নির্মাতা সব সময়ই তাঁর পছন্দের কাজটিই করেন। সেখানে কাটাকাটি করতে হলে মন খারাপ হয়ে যায়। সেই জায়গা থেকে আমি ভাগ্যবান। আমাকে কোনো পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি। সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন সিনেমাটি ভালো হয়েছে। এটা আমাকে আগামী সিনেমা নির্মাণে উৎসাহ দেবে।’
গত এপ্রিল মাসে এটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। তখন লকডাউন থাকায় সিনেমা দেখার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে ২ জুন সিনেমাটি দেখে সেন্সর সনদের জন্য সুপারিশ করা হয়। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অঞ্জন আইচ।
২০১৯ সালে শুরু হয় ‘আগামীকাল’-এর শুটিং। ২০২০ সালে শুটিং–পরবর্তী কাজে লেগে যায় প্রায় ৬ মাস। সেন্সর সনদ হাতে পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে অঞ্জন বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। সিনেমাকে আমি সন্তানের মতো ভালোবাসি। আমার প্রথম সন্তান জন্মের সময় যেমন খুশি হয়েছিলাম, এখনো ঠিক তেমনই খুশি। আমাদের সবকিছুই পরিকল্পনামতো হয়েছে। আশা করছি ঈদে মুক্তি দেব ছবিটি। তবে হল না পেলে ঈদের পর ভালো একটি সময়ে সিনেমাটি মুক্তি দেব।’
গত বছর মার্চে ‘আগামীকাল’ মুক্তির কথা ছিল। সেই সময় করোনার কারণে সেটি আর হয়নি। সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি শিগগিরই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মেও ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সিনেমায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, শতাব্দী ওয়াদুদ, মম, ইমন, সূচনা আজাদ, টুটুল চৌধুরী প্রমুখ। বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা এস এম মহসিন।