করোনায় বন্ধ থাকার ৪৬ কার্যদিবস পর আজ থেকে সারা দেশে বিচারিক আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। শনিবার হাইকোর্টের দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
তবে স্থানীয় প্রশাসন কোনো জেলা সদর বা মহানগরে করোনাভাইরাসজনিত (কোভিড-১৯) রোগের বিস্তার রোধে চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করলে সংশ্লিষ্ট জেলার বা মহানগরের দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও জরুরি দরখাস্ত শুনানি করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলায় যে ক্ষেত্রে আদালতে পক্ষগণের উপস্থিতির আবশ্যকতা নেই, সে ক্ষেত্রে পক্ষগণের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আদালতে হাজিরা দাখিল করবেন। জামিন শুনানি এবং আমলি আদালতে ধার্য তারিখে হাজিরার জন্য কারাগারে থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রিজন ভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত প্রাঙ্গণে বা এজলাসকক্ষে হাজির করার আবশ্যকতা নেই।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, আদালতের বিচারিক কর্মঘণ্টার প্রথম ভাগে (সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সোয়া একটা) সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক, আপিল, রিভিশন ও রিভিউ শুনানি এবং দ্বিতীয় ভাগে (বেলা দুইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা) জামিনসংক্রান্ত বিবিধ মামলা, জামিনের দরখাস্ত ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তসহ অন্যান্য দরখাস্ত শুনানি হবে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক বিচারকাজ বন্ধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। পরে ১২ এপ্রিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে রেখেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি জামিন ও রিমান্ড শুনানির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, আদালতে সরাসরি উপস্থিতি ছাড়াই বন্দিদের কারাগারে রেখে ভার্চুয়ালি শুনানির মাধ্যমে নিম্ন আদালত থেকে ৪৬ কার্যদিবসে ৬৯ হাজার ৬৫৫ জন বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।
সংবাদচিত্র/আইন ও বিচার/আর.কে